বগুড়ায় হঠাৎ বাস ধর্মঘট, বিপাকে যাত্রী

আজ সকাল ১০টার পর বগুড়া থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী সব বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে শ্রমিক নেতারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

আজ বুধবার সকাল ১০টার পর বগুড়া থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বাস শ্রমিক নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

আগে থেকে কোনো ঘোষণা না দিয়ে বাস ধর্মঘট শুরু করায় বিপাকে পরেছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। তারা বাসের জন্য এসে হঠাৎ ধর্মঘটের খবরে হতবাক। এমনকি আজ সকাল থেকেও বিভিন্ন গন্তব্যের বাস ছেড়ে গেছে বগুড়া থেকে। সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা।

ধর্মঘটের কারণে বগুড়া সাতমাথা, চারমাথা কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এবং ঢাকা বাসস্ট্যান্ড (ঠনঠনিয়া) থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।

ঢাকাগামী যাত্রী জোবায়ের রহমান (৭০) বলেন, 'ধর্মঘটের কথা জানতাম না। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছি। কাউন্টারের লোকজন বলছে, ঢাকায় কোনো বাস যাবে না।'

তিনি বলেন, 'আমার ঢাকা যাওয়া জরুরি। কীভাবে যাবে বুঝতে পারছি না।'

বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ক্রীড়া সম্পাদক মো. আজাদ বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে মিটিং করব। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত বগুড়া থেকে সব বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।'

বগুড়া শহরের স্টেশন রোডের মিতালী পেট্রোল পাম্পের সামনে গতকাল মঙ্গলবার গতকাল বিকেল ৫টার দিকে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। সেখানে স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে দুজন মোটর শ্রমিক নেতার বাগবিতণ্ডা ও সংঘর্ষ হয়। এতে শ্রমিক নেতারা গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরবর্তীতে আজ দুপুর ১টার পর আবার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, 'দুই শ্রমিক নেতার ওপর হামলাকারীদের তিন দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। এই কারণে আবার যানবাহন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

7h ago