চাকরি প্রতারণা

মালয়েশীয় কোম্পানি, সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৩৩ বাংলাদেশির ৪.৮০ কোটি টাকার মামলা

মালয়েশিয়ায় অভিবাসী শ্রমিক। ফাইল ফটো রয়টার্স

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মালয়েশিয়ার একটি রিক্রুটিং ফার্ম এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও বিভাগের বিরুদ্ধে ৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক মামলা করেছেন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা ১ দশমিক ৭২ মিলিয়ন রিংগিত বা ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

মামলাটি গত ১২ মার্চ মালয়েশিয়ার শাহ আলম শহরের হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। স্থানীয় অধিকার সংগঠন তেনাগানিতা শনিবার বিষয়টি প্রকাশ করে।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন— মেরান্তি বিনামাস এসডিএন বিএইচডি নামের একটি রিক্রুটিং কোম্পানি, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল, ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান এবং সরকারি কর্মচারীদের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি বিভাগ।

ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি শ্রমিকরা চান আদালত যেন ঘোষণা করে যে তারা মানবপাচার ও চাকরির নামে প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং কর্মকর্তারা তাদের ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন। এছাড়াও তারা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যেন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইমিগ্রেশন বিভাগ তাদের আটক না করে।

দাবিপত্রে বলা হয়েছে, নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেরান্তি বিনামাস কোম্পানি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায়। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন চাকরির প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

তাদের ন্যূনতম মাসিক বেতন ১ হাজার ৫০০ রিংগিত বা ৬০ হাজার এবং ওভারটাইম কাজের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তাদের বলা হয়, কোটা অনুমোদন, লেভি, অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং এজেন্টদের কমিশনের জন্য প্রত্যেককে ২৫ হাজার রিংগিত (সাড়ে ৬ লাখ টাকার বেশি) করে দিতে হবে।

কিন্তু পরে শ্রমিকেরা বুঝতে পারেন, এসব খরচ বহন করার দায়িত্ব ছিল নিয়োগকর্তার।

২০২৩ সালের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে ধাপে ধাপে মালয়েশিয়ায় পৌঁছান তারা।

কুয়ালালামপুরের ডরমিটরিতে থাকার ব্যবস্থা করার আগে কর্মীদের কাছ থেকে তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র ও পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়।

পরে তারা জানতে পারেন যে চাকরির প্রস্তাবগুলো আসলে ভুয়া ছিল। তাদের ওই ডরমিটরিতেই থাকতে হয়েছিল এবং সেখানে শুধু কাঁচা খাবার দেওয়া হতো, যা তাদের নিজেদের রান্না করে খেতে হতো।

অবশেষে শ্রমিকেরা তেনাগানিতা নামের অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠনের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর শ্রম বিভাগ বিষয়টি তদন্ত শুরু করে।

Comments

The Daily Star  | English
charges against Sheikh Hasina at ICT

ICT case against Hasina: Verdict date could be set tomorrow

State-appointed defence counsel for the absconding accused concluded arguments today

1h ago