সেতু দেবে যাওয়ায় আখাউড়া-কসবার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-কসবা সড়কের একটি সেতু মাঝ বরাবর দেবে যাওয়ায় এই দুটি উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার দিনগত মধ্যরাতে ওই উপজেলার মোগড়া এলাকায় কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি দেবে যাওয়াসহ এর দুইপাশের রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিএম রাশেদুল ইসলাম।

ইউএনও দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সেতুটির মাঝখানের অংশ দেবে গেছে এবং দেবে যাওয়া অংশের দুই পাশের রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া সেতুর দুই পাশের সড়কের সংযোগেও ফাটল ধরেছে। এ অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে বাঁশ বেঁধে জনস্বার্থে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে, মনিয়ন্দ এলাকায় যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে গোয়াল গাঙ্গাইল গ্রাম এবং কসবা উপজেলায় যাতায়াতের জন্য বিকল্প হিসেবে ধরখার সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। ঈদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আখাউড়া উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কাকিনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার। ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় এই মুহূর্তে সেতুটির নির্মাণ সাল ও নির্মাণ ব্যয় সম্পর্কিত কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ছবি: স্টার

স্থানীয় বাসিন্দা কাউছার চৌধুরী বলেন, রাতের কোনো এক সময় হয়তো ভারী যান চলাচল করায় সেতুর মাঝ বরাবর পিলার দেবে গেছে। এই সড়কে বহু মানুষের যাতায়াত। ঈদকে সামনে রেখে এই সেতুটি দেবে যাওয়ার ফলে আখাউড়া-কসবাসহ উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

এই সড়কের নিয়মিত চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক নূর মোহাম্মদ বলেন, কাকিনা সেতুর মাঝের অংশ দেবে যাওয়ায় সকাল থেকে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা যাচ্ছে না। এতে করে প্রায় ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, কাকিনা সেতুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে নতুন সেতুর জন্য কাগজপত্র পাঠানো হবে। আপাতত করণীয় কী তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।

Comments

The Daily Star  | English

14 killed as police open fire on Gen Z protest in Nepal

Police used live ammunition, tear gas, and water cannons against protesters demonstrating against social media restrictions and corruption

1h ago