সনদ ছাড়াই রোগী দেখতেন, অবশেষে হাতেনাতে আটক

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ায় স্বপনকে ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসক সনদ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে গলায় ঝুলিয়ে রোগী দেখে যাচ্ছিলেন স্বপন চন্দ্র সাহা। স্বীকৃত সনদ ছাড়াই চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চালিয়ে আসছিলেন 'পিএসপি ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড লেজার থেরাপি সেন্টার'।

অবশেষে আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।

শুধু স্বপন সাহাই নন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আরও বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিনা অনুমোদনে। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, চিকিৎসা চলছে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে—সব মিলিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান যেন রোগীদের জন্য একেকটি ভয়ংকর ফাঁদ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। অভিযানে চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূঁইয়া।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শহরের মৌলভীপাড়ায় পিএসপি ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড লেজার থেরাপি সেন্টারের মালিক স্বপন চন্দ্র সাহা নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছিলেন। অথচ তার চিকিৎসক হিসেবে কোনো স্বীকৃত সনদ নেই। অভিযানের সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।'

পরবর্তীতে প্রতারণার অভিযোগে তার প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ায় স্বপনকে ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান ইউএনও।

অভিযানে হাসপাতাল রোডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অনুমোদনের কাগজপত্র না থাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসাসেবা চালানোর দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিকে বহুতল ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় পুরাতন জেল রোডে অবস্থিত আল খলিল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১৫ হাজার টাকা এবং যথাযথ অনুমোদন না থাকায় গ্লোবাল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Awami League tenure: ACC probing 15yrs of financial irregularities

The Anti-Corruption Commission (ACC) has launched an investigation into alleged corruption by individuals, financial institutions, industrial groups, and loan defaulters during the Awami League’s 15-year tenure, which it claims led to the destruction of the country’s financial system.

3h ago