বাগেরহাটে চলছে হরতাল, ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা টানা তিন দিনের হরতাল চলছে। ছবি: স্টার

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা টানা তিন দিনের হরতাল সকাল থেকে শুরু হয়েছে।  

হরতালের কারণে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বা আন্তঃজেলা বাস ছেড়ে যায়নি। তবে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে। মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করেছে মহাসড়ক ও শহরের রাস্তায়।

আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে সমাবেশ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন তারা।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সর্বদলীয় সমন্বয় কমিটির কো-অডিনেটর এম এ সালাম বলেন, 'জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা শুধু মহাসড়কে হরতাল করছি। দুই চাকার যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হরতালের আওতামুক্ত আছে।'

জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম বলেন, 'চারটি আসন বহাল রাখা বাগেরহাটবাসীর ন্যায্য দাবি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা শিগগির উচ্চ আদালতে রিট করব।'

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সকাল-সন্ধ্যা এবং মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে। এর আগে একই দাবিতে দুই দফায় হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে কমিটি।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাটের আসন সংখ্যা চার থেকে তিনে নামানোর প্রস্তাব দিলে জেলাজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। তাদের দাবি, কমিশনের শুনানিতে অংশ নিয়ে চারটি আসন বহালের দাবি জানানো হলেও ৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত চূড়ান্ত গেজেটে তিনটি আসনই রাখা হয়, শুধু সীমানায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে ভোট হবে। এর আগে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)—এভাবে চারটি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল।

Comments