প্রবাসীদের পোস্টাল ভোটবিডি অ্যাপ চালু নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে: ইসি সানাউল্লাহ

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: স্টার

প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে চালু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধনের জন্য সময় দেওয়া হবে সাত থেকে দশ দিন।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব কথা জানান।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'দেশের বাইরে থেকে ভোট দেওয়ার জন্য আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি) রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ আমরা ডেভেলপ করছি এবং নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এই অ্যাপ লঞ্চ হবে।'

এবার প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'বিশ্বব্যাপী প্রবাসী ভোটের ছয়টি প্রচলিত পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ইন-পারসন ভোটিং ও পোস্টাল ব্যালট। অনলাইন ভোটিং এখনো সীমিত মাত্রায় প্রচলিত। মাত্র দুটি দেশ সম্পূর্ণভাবে অনলাইন ভোটিং চালু করেছে। প্রক্সি ভোটিং, মোবাইল পোস্টাল ব্যালট ও ফ্যাক্স ভোটিংও কিছু দেশে চালু আছে। বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছিল পোস্টাল ব্যালট, প্রক্সি ভোটিং এবং অনলাইন ভোটিং—তবে আপাতত অনলাইন ভোটিং সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রক্সি ভোটের তেমন সমর্থন না থাকায় সেটি বাদ দেওয়া হয়েছে।'

পোস্টাল ব্যালটের গ্লোবাল অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে নিবন্ধনের হার মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং এর মধ্যে ভোট সংগ্রহের হার ৩০ শতাংশের নিচে। তবুও বাংলাদেশের প্রবাসীরা অন্যদের তুলনায় বেশি আগ্রহী।'

ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'আমাদেরও প্রত্যাশা সীমিত রাখতে হবে, তবে আমরা ব্যর্থ হব না।'

তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটে থাকবে প্রার্থীর প্রতীক। প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটাররা মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দেখতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন। পরে তিনি ব্যালট ফেরত পাঠাবেন। এবারের ভোটে প্রবাসীদের কোনো চার্জ দিতে হবে না। যদিও প্রতিটি ভোটে সরকারের খরচ হবে প্রায় ৭০০ টাকা।

নিবন্ধন প্রসঙ্গে ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, দুটি ধাপে কাজ হবে। প্রথমে ভোটার নিবন্ধন—যারা ইতোমধ্যে এনআইডি কার্ডধারী, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছেন। এরপর আউট অব কান্ট্রি ভোটিংয়ের জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যা নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে চালু হবে। প্রতিটি অঞ্চলে ৭–১০ দিন সময় দেওয়া হবে নিবন্ধনের জন্য, প্রয়োজনে অতিরিক্ত ৩–৭ দিন সময় রাখা হবে।

ইসি সানাউল্লাহ জানান, পোস্টাল ব্যালটের দুটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হলো ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা এবং আরেকটি হলো আদালতের আদেশে প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হলে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া বিশ্বব্যাপী ডাকযোগে ব্যালট পৌঁছার ব্যর্থতার হার প্রায় ২৪ শতাংশ।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'আমরা চাই প্রবাসীরা শুধু আজ নয়, আগামীতেও আমাদের সাথে থাকবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

10h ago