ফেরারি আসামিকে সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণাসহ ৪৬ প্রস্তাব ইসির

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: স্টার

ফেরারি আসামিকে সংসদ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা, প্রার্থীদের নিজ আসনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য হতে না দেওয়াসহ আরপিওতে ৪৬টি সংশোধনী প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। 

তিনি বলেন, 'ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিওর জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৬টি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সংশোধনীটি  চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার পাঠানো হয়েছে।'

'প্রস্তাবনার মধ্যে আছে, প্রার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা নিজ সংসদীয় আসনের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য হতে পারবেন না। পাশাপাশি কোনো প্রার্থী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশন স্বতপ্রণোদিতভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবেন,' বলেন ইসি সানাউল্লাহ।

তিনি আরও জানান, 'প্রস্তাব অনুযায়ী আদালত কর্তৃক ঘোষিত ফেরারি আসামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।'

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'আগে আরপিওকে লেখা ছিল সোর্স অফ ইনকাম। এখানে আমরা আরেকটু অ্যাড করেছি, বোথ অ্যাট হোম অ্যান্ড অ্যাব্রড। অর্থাৎ দেশে ও দেশের বাইরের সম্পদের বিবরণী দিতে হবে। একইভাবে স্টেটমেন্ট অব প্রপার্টি এবং ডেট অর্থাৎ সম্পদ ও দেনার বর্ণনাতেও দেশে ও বিদেশের কথা যোগ করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'যদি কোনো প্রার্থী তার হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেন, প্রমাণ হলে নির্বাচন কমিশন স্বতপ্রণোদিতভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং এমনকি তার প্রার্থিতাও বাতিল হবে এবং তিনি সংসদ সদস্য পদ হারাবেন।'

কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে 'না' ভোট যুক্ত করে প্রথমে ভোট হবে বলে জানান ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, 'একক প্রার্থী ও "না" ভোটের মধ্যে যদি কোনো কারণে "না" বেশি ভোট পায় তাহলে পুনঃতফসিল হবে। পরে সেই তফসিলে আবারও একক প্রার্থী হলে প্রার্থী জিতে যাবে।'

ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, 'জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে গেলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।'

আগামী সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল করার সুযোগ আছে কিনা, জানতে চাইলে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'শুধু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, জাতীয় নির্বাচনে ছিল না। এটা আমরা নতুন করে যোগ করব বলেছিলাম, কিন্তু এখন আমরা এটা যোগ করছি না।'

কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকলে সে দলের নেতারা কি সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'সেই রাজনৈতিক দল কোনো কার্যক্রম চালাতে পারছে না। সুতরাং ওই রাজনৈতিক দলের নাম নিয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারছেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কীভাবে অংশ নেবেন সেটা সময়ই বলে দেবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

15h ago