হেলমেটবিহীন চালকের মোটরসাইকেলে চড়ার ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

মোটরসাইকেলে চেপে গন্তব্যে যাচ্ছেন উপদেষ্টা

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে তীব্র যানজটে আটকা পড়েন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে নেমে তিনি মোটরসাইকেলে ওঠেন। তবে সেই মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে 'উপদেষ্টার রোজনামচা, চালকের হেলমেট নাই, ও সেফ এক্সিট' শিরোনামে আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের একজন সহকারী প্রেস সচিব আজ সকালে এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন। পাঁচ ঘণ্টায় এতে মন্তব্য করেছেন ২৬১ জন। পোস্টে রিয়েক্ট করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গতকালের ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্টে ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, সরাইলের পথে যানজটে সাত-আট কিলোমিটার রাস্তায় এক ঘণ্টা আটকে থাকার পর তিনি প্রথমে হেঁটে ও পরে মোটরসাইকেলে রওনা হন। তিনি বলেন, 'মোটরসাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় চালক কিংবা যাত্রী কারওই হেলমেট নাই। আট-দশটা মটরবাইক খুঁজে একটিমাত্র হেলমেট পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির ও অপেক্ষার পরও চালকের জন্য হেলমেট না পেয়ে সবার পরামর্শে একমাত্র হেলমেটটি নিজে পড়ে রওনা দিই।'

তিনি জানান, হেলমেটবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি পুলিশকে পরামর্শ এবং বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। যানজটের কারণ হিসেবে তিনি সরাইল চৌরাস্তার নির্মাণকাজের পাশাপাশি চালকদের শৃঙ্খলার অভাব ও হাইওয়ে পুলিশের ব্যবস্থাপনার ঘাটতিকে দায়ী করেন।

উপদেষ্টাদের 'সেফ এক্সিট' বা নিরাপদে প্রস্থানের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন তিনি তার পোস্টে। তিনি লিখেছেন, 'এ বিষয়টি উত্থাপনকারী, প্রাক্তন উপদেষ্টা ও বর্তমান এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন ও জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনা হিসাবে শ্রদ্ধার পাত্র। তাই তার বক্তব্যের ওপর আমার মন্তব্য করা শোভন নয়। তাছাড়া আমি রাজনৈতিক বিষয়ে কোন মন্তব্য করিনা।'

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'নিজের সীমিত সামর্থ্যের সবটুকু ব্যবহার করে জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছি। পদে থেকে অন্যায় সুবিধা গ্রহণ করিনি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব কাউকে ব্যবসা বা চাকরি দিই নাই। শিক্ষকতার সূত্রে, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার নিশ্চিত সুযোগ গ্রহণ করিনি। তাই, আজ ৭২+ বছর বয়সে আমাকে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয় তা হবে গভীর দুঃখের বিষয়!'

 

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

10h ago