ঝিনাইদহে ফসলের মাঠ থেকে এক রাতে ৭ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি
ঝিনাইদহে একটি ফসলের মাঠ থেকে পল্লী বিদ্যুতের ৭টি ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার বাশিপাড়া-খামারাইল মাঠে সেচ পাম্প ও ডিপটিউবয়েলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ট্রান্সফর্মার খুলে কয়েল বের করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুল আরেফিন দ্য ডেইলি স্টারকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চুরি হওয়া ট্রান্সফর্মারের মধ্যে রয়েছে— বাশিপাড়া যুব সমিতির ডিপটিউবয়েল থেকে ৩টি, পাইকপাড়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের সেচ পাম্প থেকে ১টি ও খামারাইল গ্রামে জীবন ও মজু মিয়াসহ ৩ জনের ৩টি সেচ পাম্পের ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে।
আয়নাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন ইরি ধানের বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে। এ কারণে রাতে কেউ মাঠে থাকে না। এই সুযোগে এক রাতেই মাঠের সব ট্রান্সফর্মার চুরি করে নিয়ে গেছে।'
এই ট্রান্সফর্মার চুরির ফলে ইরি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি।
বাশিপাড়ার গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। সম্ভবত ওই সময়ে চুরি হয়েছে। চোরেরা পোল থেকে ট্রান্সফর্মারগুলি খুলে এর ভেতর থেকে কয়েল ও তেল বের করে নিয়ে গেছে।'
নতুন করে ট্রান্সফর্মার কিনতে অন্তত দেড় লাখ টাকা খরচ হবে বলে জানান আব্দুর রশিদ।
ঝিনাইদহ পল্লী সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মাদ ওমর আলী জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে গ্রাহক সচেতন না হলে চুরি ঠেকানো যাবে না বলে জানান।
তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে ১১ হাজার সেচ পাম্প রয়েছে। একটি ট্রান্সফর্মারের দাম ৫০ হাজারের উপরে কিন্তু চোরেরা সেটি ভেঙে ফেলে ভেতর থেকে কয়েল বের করে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় চোরাই বাজারে বিক্রি করে দেয়।


Comments