রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় মামলা, আসামি অজ্ঞাত
রাজবাড়ীর পাংশায় গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের বড় ভাই।
রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাটের বড় ভাই অমিয় কুমার মন্ডল বৃহস্পতিবার বিকেলে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট (২৯) ১২-১৪ বছর ধরে ভারতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসতেন। গত ২৪ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টাযর দিকে তিনিসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫-৬ জন হোসেনডাঙ্গা গ্রামে শহীদ শেখের (৫০) বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে তারা ওই ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। শহীদ শেখ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় অমৃত ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর করে।
বাঁচাতে এলে শহীদের ছেলে ও ভাতিজাকেও পিটিয়ে আহত করে তারা। তখন তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে অমৃত ও তার সহযোগীদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের আটক করে মারধর করে। এতে অমৃত মন্ডল ও সেলিম শেখ গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে অমৃত মন্ডল ও সেলিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক অমৃতকে মৃত ঘোষণা করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
অমৃত ও সেলিমকে উদ্ধারের সময় পুলিশ তাদের কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ও ৪টি গুলি জব্দ করে।
অমিয় কুমার মন্ডল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় কতজনকে আসামি করা হয়েছে বা কোনভাবে মামলা করা হয়েছে, তা আমি জানি না। আমাকে মামলার কোনো কপি দেয়নি পুলিশ।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার বলেন, 'এটা সত্য নয়। বাদী সারাদিন থানায় ছিলেন। মামলাটা কীভাবে হবে, কে বাদী হবে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সময় লেগেছে।'
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে পাংশা উপজেলার কলিমহরের হোসেনডাঙ্গা এলাকায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত হন অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট।


Comments