ডেইলি স্টার-প্রথম আলোতে হামলা: গ্রেপ্তার আরও ১, মোট ৩২

প্রতীকী ছবি

দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ জনে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় থেকে আটক করা ব্যক্তির নাম আতাহার আলী ওরফে স্বপন (৩৩)।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যা শি নিউ মারমা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের সহায়তা ও তথ্যের ভিত্তিতে এ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি জানান, আতাহার আলী প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলার সময় ধারণ করা সংবেদনশীল ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন, যা জনসাধারণকে উসকানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি অন্যদেরও সেগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে উৎসাহিত করেন।

গ্রেপ্তার আতাহার আলীকে ইতোমধ্যে আদালতে হাজির করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর দ্য ডেইলি স্টারের অপারেশন বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান তেজগাঁও থানায় ৩৫০–৪০০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (১), বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ও সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশের ২৬ (১) ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

একই দিন প্রথম আলোর টিজিই অফিসের নিরাপত্তা প্রধান মেজর (অব.) সাজ্জাদুল কবির তাদের অফিসে হামলার ঘটনায় একই আইনে ৪০০-৫০০ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে জোরপূর্বক গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা ভেতরে ঢুকে কর্মীদের মারধর, অফিসের জিনিসপত্র ভাঙচুর, মূল্যবান সামগ্রী লুট এবং আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিতে আগুন দেয়।

হামলাকারীরা ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও নথিপত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্য তলাগুলোতেও ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।

এই হামলায় ২০০টির বেশি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও প্রিন্টারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্র নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।

এছাড়া, বিভিন্ন লকারে রাখা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়।

এই ঘটনায় মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী মূল্যায়নের পর আরও বাড়তে পারে।

হামলায় সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।

হামলার কারণে ১৯ ডিসেম্বর দ্য ডেইলি স্টারের ছাপা সংস্করণ প্রকাশ বন্ধ রাখতে হয়। অনলাইন কার্যক্রমও ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

4h ago