পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ ও চাকরিচ্যুত জওয়ানদের পুনর্বহালের দাবি বিডিআর কল্যাণ পরিষদের
২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও তা জনসম্মুখে প্রকাশ না করায় ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।
অবিলম্বে এই প্রতিবেদন প্রকাশ, প্রকৃত দোষীদের বিচার ও বিশেষ আদালতের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত হওয়া 'নিরপরাধ' বিডিআর (বিজিবি) সদস্যদের ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের মুখপাত্র সাঈদ আহমেদ খান বলেন, 'গত ৩০ নভেম্বর তদন্ত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনো তা প্রকাশ করা হয়নি। কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ.ল.ম ফজলুর রহমান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও প্রতিবেশী দেশের প্রত্যক্ষ মদদে ঘটানো একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যা এত দিন 'বিডিআর বিদ্রোহ' বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
সংগঠনটির সভাপতি মো. ফয়জুল আলম বলেন, 'আমরা শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশন চেয়েছিলাম। কিন্তু কমিশনের প্রজ্ঞাপনে ২(ক) ধারা যোগ করে আগের বিতর্কিত বিচারকে একপ্রকার বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল। দীর্ঘ ১১ মাস তদন্তের পর রিপোর্ট জমা হলেও আমরা এখনো জানি না সেখানে কী আছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।'
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পিলখানার বাইরের ইউনিটগুলোতে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি কোনো ঘটনা না ঘটলেও এবং সেখানকার জওয়ানরা সেনা কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে চললেও, পরবর্তী সময়ে 'সিপাহী বিদ্রোহের' নাটক সাজিয়ে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে হাজার হাজার জওয়ানকে চাকরিচ্যুত ও কারাবন্দী করা হয়।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি পেশ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে—তদন্ত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ, পিলখানাসহ সারা দেশের ইউনিট থেকে চাকরিচ্যুত ১৮ হাজার ৫১৯ সদস্যকে ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহাল ও কারাগারে থাকা নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তি এবং কমিশন কর্তৃক চিহ্নিত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।

Comments