চট্টগ্রামে হরতালের সমর্থনে বাম জোটের মিছিল-সমাবেশ

চট্টগ্রামে হরতালের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

জ্বালানি তেল, সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সারাদেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রামে সকাল থেকে মিছিল ও সমাবেশ করছেন জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে জোটের নেতা-কর্মীরা নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিয়ে দফায় দফায় মিছিল করেন আশেপাশের সড়কগুলোতে। এ সময় তাদের যান চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায়নি।

বাম জোটের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ বলেন, 'আমরা কাউকে জোর করছি না; বরং জনগণকে আহ্বান করছি সরকারের গণবিরোধী মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসতে।'

চট্টগ্রামে হরতালের সমর্থনে বাম জোটের সমাবেশ। ছবি: স্টার

হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিউমার্কেট মোড়ে এক সভায় জোটের নেতারা অবিলম্বে জ্বালানি তেল ও ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অশোক সাহা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, বাসদ (মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলার সদস্য জাহেদুন্নবী কনকসহ বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের নগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নেতারা।

এর পাশাপাশি হরতালের সমর্থনে জোটভুক্ত ৯ বাম সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, গণমুক্তি ইউনিয়ন ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার নেতা-কর্মীদেরও সকাল থেকে কোতোয়ালী, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন সড়কে মিছিল-সমাবেশ করতে দেখা গেছে।

এই সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, সরকার রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসেছে। তেমনি রাতের অন্ধকারে সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে তেলের দাম বাড়িয়েছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চরমভাবে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়েছে। সরকার লুটেরা ব্যবসায়ীদের ছাড় দিয়েছে জনগণের  সর্বস্ব লুটপাটের জন্য।

অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিকের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজা মিয়া, অপু দাশ গুপ্ত, সত্যজিত বিশ্বাস ও তিতাস চাকমা।

Comments

The Daily Star  | English

If consensus commission fails, it will be a collective failure: Ali Riaz

He made the remarks in his opening statement during the 14th day of the second phase of dialogues with political parties

40m ago