বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি ও নাগরিক ঐক্যের ৩১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের ৭ থানায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে বিএনপির পাশাপাশি নাগরিক ঐক্যেরও দুজন নেতা রয়েছেন।

গত ১৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ৭ থানায় মোট ১০টি মামলা হয়। বিস্ফোরক আইনে করা প্রতিটি মামলাতেই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৭টি মামলার বাদী পুলিশ এবং দুটি মামলায় ছাত্রলীগের ২ কর্মী ও একটিতে শ্রমিক লীগের এক নেতা বাদী হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফতুল্লা মডেল থানায় নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম ওরফে নজু মাতবর, স্বপন মিয়া এবং কর্মী মীর মাসুদ, মোহাম্মদ আলী ও নাজমুল হুদা শিবলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি ও নাগরিক ঐক্যের ৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা হলেন, নাগরিক ঐক্যের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সমন্বয়ক আলী হোসেন ওরফে নূর আলী ও কর্মী মেহেদী হাসান রতন এবং বিএনপি নেতা দিদার আলম, কর্মী সুজন, রুবেল ও রবিউল হাসান।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ২৭ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর দুটি নাশকতার মামলা হয়েছে। এই থানার ওসি মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রতনকে ১ ডিসেম্বরের মামলায় এবং বাকিদের ২৭ নভেম্বরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।'

এদিকে, আড়াইহাজার থানায় পুলিশের করা মামলায়ও বিএনপির ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি আজিজুল হক হাওলাদার।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদ ইকবাল হাসান ও ইছহাক নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।'

রূপগঞ্জে বিস্ফোরক আইনে ছাত্রলীগ কর্মীর মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির মোল্লা।

তারা হলেন, চনপাড়া গ্রামের তৌকির আহমেদ, মো. জাহিদ, শাহাদাত ওরফে বাবু, কায়েতপাড়ার পূর্বপাড়া এলাকার আজগর আলী, তারাবো বিশ্বরোড খালপাড় এলাকার জুয়েল মাহমুদ, যাত্রামুড়া এলাকার ইমরান খান ও মর্তুজাবাদ এলাকার মোমেন মিয়া।

এ ছাড়া, গতরাতে সদর মডেল থানার মামলায় ৪ জন, বন্দর থানার মামলায় দুজন ও সোনারগাঁ থানার মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে এসব মামলাকে 'গায়েবি' উল্লেখ করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঠেকাতে সারাদেশেই পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ বিরোধীদলকে এইভাবে দমন করতে চাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হবে না। বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মতো বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশও সফল হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

3h ago