রাজবাড়ীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ মামলায় অজ্ঞাত আসামি ২৭০০, গ্রেপ্তার ২৮

রাজবাড়ীতে গতকাল বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীতে গতকাল শনিবার বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় হামলা, সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে ২টি মামলা করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানার করা মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

এ তথ্য নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন আজ রোববার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল আটক ২৮ বিএনপি কর্মীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজিরা করা হলে, আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।'

অপরদিকে রেলওয়ে থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) বিধান চন্দ্র মল্লিকের করা মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার রাজবাড়ী জেলা বিএনপি দুপুর ১২টার দিকে একটি শোভাযাত্রা বের করে। 

শোভাযাত্রাটি শহরের কোর্ট চত্বর দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পুলিশও আদালতপাড়ার ভেতরে অবস্থান নিয়ে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। 

পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের একটি অংশ রাজবাড়ী রেলস্টেশনে গিয়ে অবস্থান নেয়। রেলওয়ে পুলিশ তাদের শান্তভাবে স্টেশনে অবস্থানের অনুরোধ করে। 

একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে রেলওয়ে থানার ওসিসহ কয়েকজন আহত হয়। 

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শনিবারের ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে।'

তবে এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানান তিনি।

এদিকে রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় ২৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।'

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, 'নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মিছিল থেকে অতর্কিত ভাবে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে।'

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলার এজাহারের কপি এখনো হাতে পাইনি। পেলে এ বিষয়ে কথা বলব।'

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

8h ago