রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা: শামসুজ্জামান দুদু ও জহির উদ্দিন স্বপন ২ দিনের রিমান্ডে

শামসুজ্জামান দুদু ও জহির উদ্দিন স্বপন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে ২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

গত ২৮ অক্টোবরে রাজারবাগে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় তাদের রিমান্ডে দেওয়া হলো।

আজ সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই আদালতের কাছে তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শামসুজ্জামান দুদু ও স্বপন মামলায় এজাহারনামীয় আসামি এবং তারা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে তাদের রিমান্ডে নেওয়া উচিত। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, হয়রানির জন্য তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। 

রিমান্ড বাতিলসহ জামিনের আবেদন জানিয়ে তারা একটি আবেদন জমা দেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাদের রিমান্ডে পাঠান।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের সময় প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানায় করা আরেক মামলায় গত ৬ নভেম্বর শামসুজামান দুদুকে ঢাকার সেনানিবাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ওই মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

জহির উদ্দিন স্বপনকে ৩ নভেম্বর গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে সংঘর্ষে এক কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

মামলার নথি অনুযায়ী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সরাসরি নির্দেশ ও প্ররোচনায় বিএনপি নেতারা রাজারবাগে পুলিশ ক্যান্টিন ও জাদুঘর ভাঙচুর করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা একটি পুলিশ পোস্টে অগ্নিসংযোগ করে এবং এএসআই এরশাদুল হককে নির্বিচারে মারধর করে তার কাছ থেকে আটটি গুলি ভর্তি একটি পিস্তল ও ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেয়।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন-বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স, মজিবর রহমান সরোয়ার, হাবিবুন নবী খান সোহেল ও রফিকুল ইসলাম বকুল।

একই মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন কারাগারে আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

3h ago