ভারত পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর প্রভুত্ব করেছে, যা কারো জন্যই শুভ নয়: মির্জা ফখরুল

গণমাধ্যমের সামনে কথা বলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

'ভারত সবসময় তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ওপর প্রভুত্ব করেছে, যা কারো জন্যই শুভ নয়' বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিসৌধে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের হাত থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই বিপ্লবে দেশের অসংখ্য ছাত্র-জনতা, এমনকি নারী ও শিশু প্রাণ দিয়েছেন। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নারীদের যে অবদান, সেটাকে আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না।'

তিনি বলেন, 'যে স্বাধীনতা আজকে অর্জন করা হয়েছে, সেই স্বাধীনতাকে সুসংহত করার জন্য; গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য এবং দেশে আইনের শাসন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয়তাবাদী মহিলা দল তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।'

'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে,' বলে প্রত্যাশা জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান এবং উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছি, কী কী সংস্কার করতে চান, তা সুস্পষ্ট করে জনগণের সামনে তুলে ধরুন; তার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন, যাতে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়।'

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, 'পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের যে রাজনীতি ও আচরণ, সেটা কোন পরিপ্রেক্ষিতে এবং কীভাবে করছে, তারাই ভালো বোঝে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে না।'

তার ভাষ্য, 'এর অন্যতম প্রধান কারণ, ভারত সবসময় এই দেশগুলোর ওপর একটা প্রভুত্ব করেছে। যেটা ভারতের জন্যও শুভ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য শুভ নয়। পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে, পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত বলে আমরা মনে করি।'

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu 2025, a litmus test for the interim government

Ducsu 2025 is much more than a contest for student union posts. It is like a referendum on the future of student politics in Bangladesh

35m ago