১৫ জুনের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এনসিপি: সারজিস

ছবি: স্টার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন যে, চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আবেদন সম্পন্ন করা হবে।

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় বাজারে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

সারজিস আলম বলেন, 'নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলের যে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন তার আবেদন করার প্রক্রিয়াটি চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারব বলে আশা করছি।'

তিনি বলেন, 'এই নিবন্ধন পেতে যে ১০০টি উপজেলা এবং প্রায় ২২টি জেলায় কমিটি প্রয়োজন হয় সেগুলো এনসিপির ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে এবং অফিস নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।'

'যথাসময়ে নিয়মানুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো আমরা আমাদের নিবন্ধন কার্যমক্রম সম্পন্ন করব,' যোগ করেন তিনি।

সারজিস বলেন, 'জাতীয় নাগরিক পার্টি সাংগঠনিক যে কার্যক্রম এটিকে  সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে কারণ- সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করার এই প্রক্রিয়া  রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেলে এটা  অটোমেটিক নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে সম্পন্ন করে।' 

প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময় ঘোষণার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, 'যদি দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাই, মৌলিক সংস্কারগুলো আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়-যেমন, বিচার বিভাগের, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, নির্বাচন কমিশনের। এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বচন হলে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।'

নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা সবসময় দেখে এসেছি নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকার-পেশীশক্তির ব্যবহার করা হয়।'

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমরা লেভেল প্লেয়িং একটি ফিল্ড দেখতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে ছোট দল হোক, বড় দল হোক সবাই তাদের জায়গা থেকে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচনে একদম সক্রিয় এবং সয়ংসম্পূর্ণভাবে নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।'  

সরকারকে উদ্দেশ্য করে সারজিস আলম বলেন, 'নির্বাচনে কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয় এবং যে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট কেন্দ্র থেকে শুরু করে নির্বাচনী এলাকায় দেখেছি---যেমন, ভোটকেন্দ্র দখল করা, ব্যালট চুরি করা, এই টাইপের ঘটনাগুলো যেন আমরা আগামীর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে না দেখি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগ নির্বাচনকালে যেন পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।'

সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশে ফিরে আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তারা অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার এবং অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার। যারা এতদিন ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তাদের যারা এমন দোসর ছিল, যারা তাদেরকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হিসেবে ছিল, তাদের সামগ্রিক বিষয়গুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ চাই এবং এটা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেন হয়।'

তিনি বলেন, 'আমরা এই বিষয়টাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামগ্রিক যে পদক্ষেপ এবং কী পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন সেটা অবজার্ভ করছি।  আমরা বিশ্বাস করি যে, তারা অন্তত এই সব প্রশ্নে তাদের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান সবসময় তাদের কাজের মাধ্যমে ব্যক্ত করবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago