নির্বাচন নিয়ে কারও কারও বক্তব্য জনমনে জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছে: তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণার পর কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য জনমনে নানা জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি আরও মন্তব্য করেন, 'দেশে ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হলে সংবিধান বা বিধি বিধানে নয়, জনগণের ভোটের কোনো বিকল্প নেই।'

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, 'সংবিধান কিংবা লিখিত বিধি-বিধান দিয়ে কখনোই ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না। রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে যদি ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হয়, তাহলে অবশ্যই জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।'

'সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগের যে চর্চা, এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জনগণ শক্তিশালী না হলে রাষ্ট্র এবং সরকার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে জনগণকে শক্তিশালী করা কিংবা প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের সরাসরি ভোটের নির্বাচনী ব্যবস্থা—সে নির্বাচনই হচ্ছে অন্যতম প্রধান মাধ্যম,' বলেন তিনি।

জনগণকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমি একটা বিষয় আজকে বলতে চাই, নির্ধারিত সময় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের রাজপথের সহকর্মী যোদ্ধা কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বক্তব্য-মন্তব্য গণতান্ত্রকামী জনগণের মনে নানা জিজ্ঞাসা জন্ম দিয়েছে।'

তিনি বলেন, 'এই অনুষ্ঠান থেকে আমি গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তির সব রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, গণতান্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পতিত পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে উঠবে, তাদের সুযোগ তৈরি হবে। এ ব্যাপারে আমি সারা দেশে গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রতি সজাগ এবং সতর্ক থাকার বিনীত আহ্বান জানাই।'

তারেক রহমান আরও বলেন, 'নানা রকম উপায় বা শর্ত আরোপ করে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে যদি বাধা সৃষ্টি হয়, তাহলে অবশ্যই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ সংকটে পড়বে। আমাদের মনে রাখা দরকার, স্বৈরাচারী শাসনের সময় গণতান্ত্রিক রাজনীতিক কেউ নিরাপদে ছিল না, কারও পরিবার নিরাপদে ছিল না।'

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, 'জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের সমর্থন নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে বিএনপির নেওয়া পরিকল্পনাগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব।'

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান, এমন কোনো কাজ করা থেকে আপনারা বিরত থাকবেন, যা জনগণের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে। মনে রাখবেন, জনশক্তি, জনবল বিএনপির মনোবল।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

3h ago