জুলাই সনদ স্বাক্ষর: বিএনপি বলছে ‘নতুন অধ্যায়’, ‘গুণগত পরিবর্তনের’ আশা জামায়াতের

জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সনদ স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
বিপরীতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের ভাষ্য, যদি সত্যিকার অর্থেই জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে রাজনীতিতে একটা গুণগত পরিবর্তন হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তারা এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'গোটা জাতির যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্যই প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো (জুলাই) সনদ স্বাক্ষর করবে। তার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে কমিশনগুলো গঠন করেছিলেন, সেটা প্রায় সাত-আট মাস তারা পরিশ্রম করে আজকে এই সনদ স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষরিত হয়েছে, এটা এই জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। এই ঐতিহাসিক দিন আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে, যতদিন বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে। আজকে শহীদের আত্মত্যাগ, রক্তদান, এই জাতির আকাঙ্ক্ষা-জনপ্রত্যাশা সব কিছু পূরণের শুরু হলো কেবল। এগুলোর বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো অর্জন করতে পারবো। যে রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হবে। শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মিত হবে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মিত হবে, রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হবে। রাষ্ট্রের কোনো অঙ্গ আরেকটি অঙ্গের উপর কর্তৃত্ব প্রদর্শন করতে পারবে না।'
তিনি বলেন, 'সাংবিধানিক সীমারেখার মধ্যে থেকে সমস্ত অঙ্গ সাংবিধানিক ভারসাম্যটা রক্ষা করবে। একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা হবে। সেই দিনের আশায় আমরা আছি, সামনের দিকে আমাদের অনেক কাজ। কেবল যাত্রা শুরু।'
'সবাই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করেছে, যারা দুই-একজন স্বাক্ষর করেননি, আশা করি তারাও ভবিষ্যতে স্বাক্ষর করবেন। সেই সুযোগ উন্মুক্ত রাখা আছে,' যোগ করেন তিনি।
মোহাম্মদ তাহের বলেন, 'আমি মনে করি, আজকের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের রাজনীতি এবং প্রশাসনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হবে। এই জাতি ৫৪ বছরে বারবার যে নানা অপকর্ম-অপশাসনের সম্মুখীন হয়েছিল, আজকের এই জাতীয় সনদ আমরা যারা সবার ঐকমত্যের মাধ্যমে সিগনেচার করেছি, এটা যদি সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এখানে রাজনৈতিক গুণগত পরিবর্তন হবে।'
জুলাই সনদে স্বাক্ষরের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, আমরা যেসব পয়েন্টে একমত হয়েছি, যারাই দায়িত্বে আসবেন, তারা হুবহু এসব দাবি পূরণ করবেন। এখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, একটা হচ্ছে আজকের সনদের সিগনেচারের মাধ্যমে এটার আইনি ভিত্তি হলো নাকি হলো না? এটাকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার যে বিষয়টি সেটা বাকি আছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আমাদের প্রতি প্রশ্ন ছিল, আইনি ভিত্তি না দেওয়ার আগে আপনারা সাইন করলেন কেন? এটা নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।'
তাহের আরও বলেন, 'আমরা যেটা বিবেচনা করলাম যে, আমরা এতদিন ধরে যেসব বিষয়ে আমরা একমত আমরা সে জিনিসটা সাইন করেছি। এখন আমাদের মূল কথা হচ্ছে, অতি অল্প সময়ের ভেতরে দীর্ঘ আলোচনায় আমাদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যে দৃষ্টিভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আইনগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটাকে যেন এই সরকার বাস্তবায়ন করে। এ ক্ষেত্রে যদি সরকার ডিলে করে বা অন্য কিছু চিন্তা করে, তাহলে সেটা জুলাইয়ের সঙ্গে জাতীয় গাদ্দারি হবে এবং নতুন করে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।'
'আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মান করেছি, উনার ওপর আস্থা রেখেছি। আমরা আশা করি, উনিও উনার কথা ঠিক রাখবেন এবং বাংলাদেশের নতুন সংকট তৈরির ক্ষেত্রে উনারা যেন কোনো ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি না করেন,' যোগ করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, 'আজকে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের মানুষের একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত বাংলাদেশের এই ৫০ বছরের মধ্যে ছাত্র-যুবক-তরুণদের নেতৃত্বে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে এবং যে গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তনে একটা ব্যাপক জনমত এবং জনআকাঙ্ক্ষা গড়ে উঠেছে।'
'সেটির প্রতি সম্মান দেখিয়ে গণঅভ্যুত্থানের সরকার বিভিন্ন সংস্কারের লক্ষ্যে সংস্কার কমিটির পাশাপাশি একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করে দিয়েছিল। তারা গণঅভ্যুত্থানের অংশীজনদের সঙ্গে প্রায় নয় মাসের মতো দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা শেষে একটি জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়ন করেছে। যেটি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতেই প্রণীত হয়েছে। এখানে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর কিছুটা মতভেদ ছিল, সেখানে সবার একটা মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য ছিল যে, এই জুলাই সনদ যেন অন্যান্য সময়ে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা, কোনো দাবি-দাওয়া, সমঝতার মতো উপেক্ষিত না থাকে,' যোগ করেন তিনি।
নুরু আরও বলেন, 'জুলাই সনদে শহীদ পরিবার এবং আহতদের স্বীকৃতি, পুনর্বাসন এবং এই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী নেতাদের সুরক্ষার বিষয়টা শুরুর দিকে কিছুটা অস্পষ্ট ছিল। যার ফলে আজকে আমরা দেখেছি, সারা দেশের কিছু বিক্ষুব্ধ জুলাই যোদ্ধারা এই অনুষ্ঠানে এসেছিল। যার ফলে একটা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটেছিল। ওই যে বলে, "দাগ থেকে অনেক সময় দারুণ কিছু হয়", অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও সেই ঘটনার প্রেক্ষাপটেই কিন্তু সরকার শেষ দিকে এসে জুলাই সনদ সংশোধন করে এই জুলাই যোদ্ধা, তাদের পরিবার এবং তাদের আইনি সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ ও শহীদ পরিবারগুলোর মর্যাদার বিষয়ে একটা ধারা যুক্ত করেছে।'
এ জন্য তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান। জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'এইভাবে আজকের দিনটাতেও আসলে তারা লাঞ্ছিত হয়েছে, অনেক হামলার শিকার হয়েছে।'
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, 'এখন একটি বিষয় এখনো কিছুটা ধোঁয়াশা আছে বা অস্পষ্টতা আছে। এই আইনি ভিত্তি কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হবে? সেটি কি নির্বাচনের আগে না নির্বাচনের পরে? অনেকগুলো রাজনৈতিক দল এবং আন্দোলনকারী নেতাদের দাবি ছিল যে, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই একটি গণভোটের মাধ্যমে এর বৈধতা দেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকে বলেছে যে, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একটা গণভোট করা।'
তিনি বলেন, 'যেহেতু জাতীয় নির্বাচনের সময় বাকি আছে চার মাস এবং দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে এই মুহূর্তে আসলে জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য এবং জরুরি হয়ে পড়ছে। সেই বাস্তবতায় প্রশাসনে যে একটা স্থবির অবস্থা, একটা ধীরগতি দেখি, সেখানে আসলে দুটি নির্বাচন আয়োজন করাটা অনেক ক্ষেত্রে অবাস্তব অনেকের কাছে মনে হচ্ছে।'
'আমরা মনে করি, যেটুকু এখনো আমাদের অমীমাংসিত আছে, এখনো যেহেতু আলাপ-আলোচনার সুযোগ আছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনও বলেছে, সেই আলাপ-আলোচনার মধ্যে দিয়েই নির্ধারণ করতে হবে যে গণভোটটা নির্বাচনের আগে হবে না পরে হবে,' যোগ করেন তিনি।
নুরু বলেন, 'এই সরকার আমাদের সবার সমর্থিত সরকার। আমাদের সহযোগিতা নিয়ে তারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে। কাজেই এ রকম একটা ঐতিহাসিক মুহূর্তে, এই ঐতিহাসিক সনদের ক্ষেত্রে যদি আমরা শেষ দিকে এসে স্বাক্ষর না করি, সেটা আসলে এই আন্দোলনের প্রতি কার্যত অসম্মান প্রদর্শন করা হয়। সরকারকে সহযোগিতা করার মনোভাব এবং আমাদের এই আন্দোলনের ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমরা আজকে এই স্বাক্ষর করেছি। আশা করি, সরকার একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে এর বাস্তবায়নের জন্য আইনগত ভিত্তি যতটুকু তারাও নিশ্চিত করতে পারে, সেই চেষ্টাটি তারা করে যাবে।'
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, 'জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছে, সেই আলোচনাকে আরও সুনির্দিষ্ট করার জন্য গতকালকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের মেয়াদ আরও ১৫ দিন বৃদ্ধি করেছেন। এই মেয়াদের মধ্যে যে ঐকমত্য হয়েছিল বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে মৌখিকভাবে, কিছুটা লিখিতভাবে, সেটাকে সুনির্দিষ্ট করা হবে।'
তিনি বলেন, 'সেখানে মূল প্রতিপাদ্য ছিল, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের যে একটা বাধ্যবাধকতা, সেই বিষয়ে একটা পদ্ধতিগত দিক। আরেকটা হচ্ছে আগামী যে সংসদ গঠিত হবে, যে সংসদে এটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে, সেটার এই ক্ষমতা আছে কি না যে, তারা জনগণের অভিপ্রায় হিসেবে এই সংস্কারকৃত সংবিধানটা তৈরি করতে পারবে। দুই বিষয়েই কিন্তু নানা পথ অবলম্বন করে আমরা একটা সমাধানে পৌঁছেছিলাম, যদি একই দিনে গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন হয়, তাহলে গণভোটের মধ্য দিয়ে জনগণ এই জুলাই জাতীয় সনদকে অনুমোদন করবেন, যেটা আগামী জনপ্রতিনিধিদের জন্য একটা বাধ্যতামূলক ব্যাপার হবে, আগামী সংসদের জন্য একটা বাধ্যতামূলক ব্যাপার হবে। দুই নম্বর হচ্ছে আগামী সংসদকে এই গণভোট সংবিধানকে মৌলিকভাবে সংস্কার করার ক্ষমতা অর্পণ করবে। যাতে করে এই সংস্কার বাস্তবায়িত হয় এবং এটা আর আদালত কর্তৃক চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়ে।'
'এই দুটি ক্ষমতা দিয়ে আগামী গণভোট হবে এবং একইসঙ্গে জাতীয় নির্বাচন হবে, তার মধ্যে দিয়ে সংসদ গঠিত হবে, জুলাই বাস্তবায়িত হবে—এই প্রশ্নে যে আদেশটি হবে, কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। সেই বিতর্ক উত্থাপন করেছে কয়েকটি দল, আপনারা এটা জানেন। সেই বিতর্কের মীমাংসার জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা সময় নিয়েছি। আশা করি আমরা এটা মীমাংসা করে এই ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে একটা ঐতিহাসিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবো এবং আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কায়েম করতে পারবো,' আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'তবে উনারা বলেছেন যে, আমাদের ঐকমত্য কমিশন আরও ১৫ দিন তো কার্যকর আছে, এর মধ্যে উনারা বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করবেন। আমি একজনের বক্তব্য এটাও দেখেছি, যদি প্রয়োজন হয় পরে উনারা সাক্ষর দিতে পারবেন। সবাই মিলে করতে পারলে আরও ভালো হতো।'
গণমাধ্যমকর্মীদের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'গত কয়েক দিনে পরিস্থিতিটা খুবই অনিশ্চিত হয়েছিল। হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছিলেন সবগুলো রাজনৈতিক দলকে। কেন ডেকেছিলেন সেটা স্পষ্টই হয়নি। মনে হয়েছিল যে, কোনো একটা সমস্যা হয়েছে, তারা সমাধান করতে পেরেছেন। এই পরিস্থিতির পরেও শঙ্কা কাটেনি কারণ পত্রিকা লিখেছে, শঙ্কা কাটেনি, বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত হয়নি। একটা-দুটি দলের নাম বলেছে যে, তারা সনদ সই করতে রাজি হয়নি। কেউ কেউ এ রকম বলেছে যে, সনদের নামে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিটা আজকেও কন্টিনিউ করছিল এবং সম্ভবত সেই কারণেই আমি বলতে পারবো না, পুরো একটা মিসম্যানেজমেন্ট ছিল। আপনারা দেখেছেন কিনা আমি জানি না।'
'এখানে বাইরে গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, হামলা-পাল্টা হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। খুব বড় নয় কিন্তু একটা বড় রকম বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। আমি বলব যে, সরকার বা কমিশন খুব ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটা ধৈর্য ধরে ট্যাকেল করেছে। যার জন্য অনুষ্ঠানটা করা গেছে,' যোগ করেন তিনি।
ভেতরে বিশৃঙ্খলার উদাহরণ টেনে মান্না আরও বলেন, 'যেমন সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলাই হয়নি। আমাদেরকে যেটা সই করতে দেওয়া হয়েছে, সেটা শুধুমাত্র অঙ্গীকারনামা। এর মধ্যে আরও যেসব বিতর্কিত বিষয় ছিল, সেগুলো এড়ানো হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা সই হয়েছে। আমি বলব বিষয়টা ভালো হয়েছে।'
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুপস্থিতি প্রসঙ্গ টেনে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'অনেক মাস যাবত, অনেক সপ্তাহ যাবত আলোচনা করার পর আজকে একটা বিরাট অনুষ্ঠান হলো। আজকে আমাদের জুলাই সনদের কন্টেন্টটা ঠিক হলো। তবে আমার আরও ভালো লাগতো যদি এনসিপির যারা আমাদের ছাত্রনেতারা আছে, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকালে নেতৃত্ব দিয়েছিল, উনারা যদি উপস্থিত থাকতো, আরও ভালো লাগতো।'
Comments