রাজা-বাদশাদের আচরণের সঙ্গে ইসির সাদৃশ্য রয়েছে: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনব্যবস্থা দেখতাম রাজা যেমন ইচ্ছা করছে। রাজা-বাদশাদের আচরণের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাদৃশ্য রয়েছে। কোনো ব্যক্তির ইচ্ছা নয়, নীতির মাধ্যমে চলতে হবে ইসিকে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে এনসিপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এতে হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
বৈঠক শেষে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, প্রতীকের বিষয়ে ইসির সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। ইসির মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক অটোক্রেসি তৈরি হয়েছে। বিদ্যমান দলগুলোকে যে মার্ক দেওয়া হয়েছে কোনো নীতিমালা নেই। মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনব্যবস্থা দেখতাম রাজা যেমন ইচ্ছা করছে। রাজা-বাদশাদের আচরণের সঙ্গে তাদের সাদৃশ্য রয়েছে।
এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলার বিকল্প কোনো কিছু ভাবছেন না বলে জানিয়েছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, শাপলা মার্কার জন্য আমরা আমাদের জায়গায় দৃঢ় রয়েছি। আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এই শাপলাকে অবশ্যই অর্জন করব।
তিনি বলেন, মার্কার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করতে হবে। এ নিয়ে যেন গণবিচ্ছিন্নতা তৈরি না হয়, সেটা দেখতে হবে। আইনি ব্যাখ্যা যতক্ষণ না পাচ্ছি, আমরা ধরে নেবো সিদ্ধান্তগুলো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসলে রিমোট কন্ট্রোলটা অন্য জায়গায়, এটা আগারগাঁওয়ে নেই। এটা অন্য কোনো জায়গা থেকে পরিচালিত হয়। আমরা যখনই তাদের সঙ্গে কথা বলি, মনে হয় এই ডিসিশনটা তারা নিজেরা নেন না। এই ডিসিশনটা তাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের আচরণে মনে হয় না সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন করতে পারবে।
এনসিপির এ নেতা বলেন, এই ইসির একটা স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। স্পাইনলেস (মেরুদণ্ডহীন) কমিশন এটা। বিভিন্ন পক্ষের ইনভলভমেন্ট রয়েছে। যারা নিয়োগ দিয়েছে তাদের পারপাস ইসির ব্যানারে সার্ভ করছে।
তিনি আরও বলেন, শাপলা ছাড়া বিকল্প কোনো অপশন নেই। কারণ ইসি আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনে আসতে আসতে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এই গণঅভ্যুত্থানটা যে হলো, এখানে কিন্তু আওয়ামী লীগ অনেকগুলো অ্যাসেট রেখে গিয়েছিল। এই নির্বাচন কমিশনটা ১৫ বছর তারা নিজেদের মতো সাজিয়েছিল।
তিনি বলেন, এই যে তারা গনিমতের মালগুলো রেখে গিয়েছিল, সেই গনিমতের মালগুলো উপদেষ্টা, বিএনপি, জামায়াত সবাই ভাগ করে নিয়েছে। রাষ্ট্রের বর্তমান যা অবস্থা, এই ইলেকশন কমিশনও তারা গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ করেছে। আর্মি এক ভাগ নিয়েছে, বিএনপি এক ভাগ নিয়েছে, জামায়াত এক ভাগ নিয়েছে। কিন্তু আমরা তো জনগণের একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে দেখতে চাই।
Comments