ভাড়ায় জমি দখল করতে যাওয়া ২ যুবদল নেতা বহিষ্কার
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ভাড়াটে হয়ে জমি দখল করতে যাওয়ার অভিযোগে যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ জালাল সোহান ও সদস্য নাজমুল হোসেন ওরফে টাইগারকে প্রাথমিকভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবদল।
বুধবার রাতে কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির ও সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর সকালে যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙী মধ্যপাড়া এলাকায় ১৬ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রায় ৩০ বছর আগে ওই জমির অর্ধেক বিক্রি করেছিলেন জমির মালিক আব্দুল কাদের। ক্রেতা আয়নাল মিয়ার মৃত্যুর পর তার ছেলে চাঁন মিয়া বাকি ৮ শতক জমিও দখল করতে শাহ জালাল সোহান ও নাজমুল হোসেন টাইগারসহ ১২-১৩ জনকে ভাড়া করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন ভাড়াটে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। আব্দুস সামাদ নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদলের বহিষ্কৃত এই দুই নেতা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করছিলেন। এলাকায় জমি দখল করা হয়ে উঠেছিল তাদের পেশা। তারা মাদক চোরাকারবারের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা যুবদলের সভাপতি রায়হান কবির বলেন, 'দলীয় নেতাকর্মীরা যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ায়, তাহলে তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'শাহ জালাল সোহান ও নাজমুল হোসেন টাইগারকে দল থেকে প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তাদেরকে চূড়ান্ত বহিষ্কার করার প্রস্তুতি চলছে।'
শাহ জালাল সোহান ও নাজমুল হোসেন টাইগারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


Comments