ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেন।
এই জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আসতে শুরু করেন।
অনেকে মিছিল করে হাদির জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন এবং তার মৃত্যু বৃথা যাবে না বলে শপথ নেন।
অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বিকেলে হাদির নামাজে জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাগণ, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নিয়ে শহীদ হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
হাদির জানাজার নামাজ পড়ান তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় পুরো এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
জানাজায় বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বক্তব্য দেন এবং শহীদ হাদির জীবনপঞ্জি পাঠ করে শোনান। আরও বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
এর আগে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের প্রবেশপথে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেনাবাহিনী এলাকায় টহল দেয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং আনসার সদস্যও মোতায়েন করা হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, হাদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
শুক্রবার তার মরদেহ দেশে আনা হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শরিফ ওসমান হাদি মারা যান।
সেদিন রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এর অংশ হিসেবে আজ সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা চলাকালে তিনি মারা যান।

Comments