২০৪৬ সালের ভালোবাসা দিবসে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু!

নাসা বলছে, ২০২৩ ডিডাব্লিউ গ্রহাণুটির ২০২৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার ক্ষীণ আশঙ্কা আছে। ছবি: নাসা

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, নতুন একটি গ্রহাণু চিহ্নিত করা গেছে এবং ২০৪৬ সালে এটি পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে— এমন ক্ষীণ আশঙ্কাও আছে।

অলিম্পিক সুইমিং পুলের আকারের এই গ্রহাণুটি নাসার হিসাব অনুসারে সেই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

তবে গবেষকরা এখনো গ্রহাণুটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। তাই এটি সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতেও পারে।

নাসার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ ডিডাব্লিউ নামের এই গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত করার আশঙ্কা ৫৬০ ভাগের ১ ভাগ। এটি নাসার 'রিস্ক লিস্টের' '১' অবস্থানে স্থান পেয়েছে। যেসব মহাজাগতিক বস্তুর পৃথিবীতে আঘাত করার আশঙ্কা আছে, সেগুলোকেই এ তালিকায় রাখা হয়।

ঝুঁকির মাত্রা অনুসারে নাসার এই রিস্ক লিস্টটি ০ থেকে ১০ পর্যন্ত হয়। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) বলেছে, এ তালিকার '১' র‌্যাংকিংয়ে থাকার অর্থ হচ্ছে গ্রহাণুটি নিয়ে ঝুঁকি প্রায় নেই বললেই চলে এবং পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষ খুবই অস্বাভাবিক।

জেপিএলের একজন নেভিগেশন ইঞ্জিনিয়ার সিএনএনকে বলেছেন, 'এই গ্রহাণুটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।'

যদি গ্রহাণুটি সত্যি সত্যি পৃথিবীর বুকে আঘাত হানেও, তাহলেও ডাইনোসরকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেওয়া সেই গ্রহাণুটির মতো এমন মারাত্মক কোনো প্রভাব পড়বে না। ওই গ্রহাণুটির আকার ছিল ৭.৫ মাইল।

তবে তারপরও ২০২৩ ডিডাব্লিউ আছড়ে পড়লে এর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে পৃথিবীতে। যদি ঘনবসতিপূর্ণ কোনো শহরে এটি পড়ে, তাহলে সেটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, প্রচুর মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ২০২৩ ডিডাব্লিউর চেয়ে অর্ধেক আকারের একটি উল্কা ১০ বছর আগে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে আঘাত হেনেছিল, যার প্রভাবে ২০০ বর্গমাইলজুড়ে কাঁচের জানালা ধসে পড়েছিল এবং অন্তত ১ হাজার ৫০০ মানুষ আহত হয়েছিল।

যদিও পৃথিবীতে এমন কোনো গ্রহাণুর আঘাত খুবই অস্বাভাবিক। এমন কিছু হলে কয়েক বছর আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা জানতে পারবেন। 

তথ্যসূত্র: নাসা, বিবিসি

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

2h ago