বিশ্বের সবচেয়ে শীতল শহরের তাপমাত্রা এখন মাইনাস ৫০ ডিগ্রি

ইয়াকুতস্কের এক ঠান্ডা দিনে এক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স
ইয়াকুতস্কের এক ঠান্ডা দিনে এক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স

ঢাকার তীব্র শীতে অনেকেই বেশ কষ্ট পাচ্ছেন। তবে তা এখনো শূন্য ডিগ্রির ধারে কাছেও যায়নি। অন্যদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে শীতল শহর হিসেবে পরিচিত ইয়াকুতস্কের তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে মাইনাস ৫০ ডিগ্রিতে নেমেছে।

আজ মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের সাইবেরিয়ার ইয়াকুতস্ক শহরে এ বছর অস্বাভাবিক দীর্ঘ শীত মৌসুম চলছে। এ শহরের বাসিন্দাদের কাছে সবচেয়ে শীতল মাস জানুয়ারি।

তারা হিমাংকের নিচের তাপমাত্রায় অভ্যস্ত হলেও এবারের শীত মোকাবিলায় নিজেদের উষ্ণ রাখতে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করছেন।

কয়েক প্রস্থ স্কার্ফ, দস্তানা, টুপি ও হুড পরা এক বাসিন্দা সিএনএনকে বলেন, 'আপনি এর সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবেন না। আপনাকে এই শীতের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে হবে অথবা কষ্ট সহ্য করতে হবে।'

স্থানীয় বাজারে হিমায়িত মাছ বিক্রি করেন এমন একজনের মতে, কয়েক প্রস্থ পোশাক পরার মধ্যেই এই তীব্র শীত মোকাবিলার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে।

ইয়াকুতস্কের ২ মাছ বিক্রেতা ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স
ইয়াকুতস্কের ২ মাছ বিক্রেতা ছবির জন্য পোজ দিয়েছেন। ছবি: রয়টার্স

তিনি বলেন, 'বাঁধাকপির মতো কয়েক প্রস্থ কাপড় পরে নিজেকে উষ্ণ রাখুন।'

ইয়াকুতস্কের বাসিন্দারা গণমাধ্যমটিকে জানান, ২০১৮ সালে এতটাই ঠাণ্ডা পড়েছিল যে তাদের চোখের পাপড়ি যেন জমে যাচ্ছিল।

রাশিয়া শীতপ্রধান দেশ হলেও, ইয়াকুতস্কর আবহাওয়া দেশটির অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি বৈরী হতে পারে। এখানে ১০ লাখের কম মানুষ বাস করেন।

ইয়াকুতস্কের একটি বাজার। ছবি: রয়টার্স
ইয়াকুতস্কের একটি বাজার। ছবি: রয়টার্স

শহরটি প্রতি জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে। এর কাছাকাছি জঙ্গলে আগুন ধরে গেলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পুরো অঞ্চলটি কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাইবেরিয়ায় ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

July being used as a moneymaking machine: Umama

Former spokesperson for Students Against Discrimination (SAD) Umama Fatema yesterday alleged corruption among the platform’s leaders.

1h ago