তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প

মৃত্যু ছাড়াল ৩৭ হাজার, সীমিত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম

ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকালে কাহরামানমারাস অঞ্চল থেকে ২ জনকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: রয়টার্স
ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকালে কাহরামানমারাস অঞ্চল থেকে ২ জনকে উদ্ধার করা হয়। ছবি: রয়টার্স

উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকা জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য রাতভর কাজ করেছেন। তুরস্কের আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ৮ দিন ধরে চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। তবে আর খুব বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।  

আনুষ্ঠানিক সূত্র মতে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৪৩ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৭০০র চেয়েও বেশি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৩৪৩।

৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৯৮ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকালে কাহরামানমারাস অঞ্চল থেকে ২ জনকে উদ্ধার করা হয়।

কাহরামানমারাসের অন্য অংশে উদ্ধারকর্মীরা এক পরিবারের ৩ সদস্যকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তারা এখনও বেঁচে আছেন বলে জানা গেছে।

তবে অন্যরা উদ্ধার কার্যক্রম গুটিয়ে আনার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছেন।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে এবং ইতোমধ্যে কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে গেছে। পোল্যান্ডের কিছু উদ্ধারকর্মী জানান, তারা বুধবার নিজ দেশে ফিরে যাবেন।

সিরিয়ার বিধ্বস্ত শহর আলেপ্পোয় অবস্থানরত জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয় সংস্থার প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস জানান, উদ্ধার কার্যক্রম 'শেষের পথে'। এখন আশ্রয়, খাদ্য ও শিক্ষার মতো বিষয়গুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখনও কাহরামানমারাস প্রদেশ, আদিয়ামান ও হাতায় অঞ্চল থেকে মানুষদের উদ্ধার করার আশা অব্যাহত রেখেছে। এসব জায়গায় মানুষ বেঁচে থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তবে দক্ষিণের শহর আনতাকিয়াতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন গুলো ভারি যন্ত্র ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে এবং আবর্জনা সরানো হচ্ছে। এখান থেকে আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন না উদ্ধারকর্মীরা।

উদ্ধারকাজ চলার সময় মাঝে মাঝে কর্মীরা নিরব থেকে আবর্জনা ও ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে আসা ক্ষীণ শব্দ শুনে জীবিতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। 

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ (এএফএডই) সোমবার জানায়, ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্প। এটাই এখন আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

5h ago