ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে বরিস জনসন ও ঋষি সুনক

বরিস জনসন ও ঋষি সুনক। ছবি: রয়টার্স

লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পর যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় উঠে আসছে তাদের মধ্যে প্রথমেই আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক।

তাদের কেউই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি। তবে রয়টার্স কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতাদের একটি তালিকা করেছে, যেখানে ৫৪ জন সুনককে এবং ২৯ জন জনসনকে সমর্থনের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

গত জুলাইয়ে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জনসনের স্থলাভিষিক্ত হন ট্রাস। অশান্ত পরিস্থিতিতে মাত্র ৬ সপ্তাহ ক্ষমতায় থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি।

যারা তার স্থলাভিষিক্ত হতে চান তাদের অবশ্যই আগামী সোমবারের মধ্যে কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতাদের কাছ থেকে ১০০টি মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার বা আগামী শুক্রবার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

জনমত সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এখন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কনজারভেটিভ পার্টি বিপাকে পড়বে। তাই সেদিকে না গিয়ে দলীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হচ্ছে।

যাদেরকে বেছে নেওয়া হতে পারে তাদের মধ্যে সুনকের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। তাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সুনকের পাশাপাশি বিবেচনা করা হচ্ছে।

মাত্র ৩ মাস আগে পার্লামেন্ট থেকে বহিষ্কার হওয়া বরিস জনসন ফের ক্ষমতায় আসবেন কি না তা নিয়ে চলছে আলোচনা। যদিও দলের সদস্যদের কাছে এখনও জনপ্রিয় রয়ে গেছেন তিনি।

কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা পল ব্রিস্টো এলবিসি রেডিওকে বলেছেন, 'তিনি (বরিস) আবারও বিষয়টি ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আমি নিশ্চিত যে আমার সহকর্মীরা এই বার্তাটি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন। আগামী সাধারণ নির্বাচনে জিততে পারেন বরিস জনসন।'

আরও কয়েকজন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা বরিসের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। 

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় যে ব্যক্তির নাম উঠে আসছে তিনি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। দলীয় সদস্যদের কাছে তারও জনপ্রিয়তা আছে। রয়টার্সের কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতাদের তালিকা অনুসারে, ১৬ জন তাকে সমর্থনের প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago