দাঁতের ব্যথায় সব কাজ পিছিয়ে দিলেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফাইল ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাঁতের চিকিৎসার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার 'রুট ক্যানেল' অস্ত্রোপচারের জন্য ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকসহ আরও কয়েকটি সরকারি অনুষ্ঠানের সময়সূচি বদলাতে বাধ্য হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বাইডেনের চিকিৎসা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জঁ-পিয়েরে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট এখন ভালো আছেন। নিশ্চিতভাবেই তিনি বিকালে বাসা থেকে কাজ করবেন।'

গত রোববার বাইডেনের দাঁতে ব্যথা শুরু হলে ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক দল তার দাঁতে এক্স-রে করে রুট ক্যানেলের প্রয়োজনীয়তার কথা জানায়।

চিকিৎসক দলের চিঠির অনুলিপি গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেছে হোয়াইট হাউস।

চিকিৎসক কেভিন ও'কনর চিঠিতে বলেন, 'প্রেসিডেন্টের চিকিৎসা ভালোভাবে শেষ হয়েছে। কোনো জটিলতা দেখা দেয়নি।'

গতকাল বাইডেনের (৮০) ব্যথা বেড়ে যায়। ব্যথা কমানোর জন্য তাকে লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মতো পর্যায়ে যেতে হয়নি বাইডেনকে।

নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের দন্তচিকিৎসা বিভাগের চেয়ারম্যান আসগেইর সিগুর্ডসন জানান, দাঁতের চিকিৎসায় রুট ক্যানেল খুবই গতানুগতিক প্রক্রিয়া, বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে।

প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে লাখো মানুষ এই চিকিৎসা নেন এবং এতে প্রায় শতভাগ সাফল্য পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

১৯৯০ সালে সর্বশেষ রুট ক্যানেল হয় বাইডেনের। তখন তিনি সিনেটর পদে ছিলেন।

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রবীণ হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। দ্বিতীয়বারের মতো ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দেওয়া বাইডেনের বয়স ও স্বাস্থ্য ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে।

বাইডেনের দাঁতের ব্যথার কারণে ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে বৈঠক ও কূটনীতিকদের স্বাগত জানানোর ২টি অনুষ্ঠানের সময়সূচি বদলানো হয়েছে।

ক্রীড়াবিদদের সম্বর্ধনা জানানোর এক অনুষ্ঠানে বাইডেনের পরিবর্তে কমলা হ্যারিস যোগ দেন। তবে তিনি বাইডেনের অনুপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেননি।

 

Comments

The Daily Star  | English

From 2019 to 2025: How Ducsu election shows change

With this Ducsu poll being the first since the July uprising, I decided to witness history with my own eyes -- this time as a journalist and alumnus

11m ago