উইকেট যেমনই হোক, আক্রমণাত্মক মেজাজই দেখাবে ইংল্যান্ড

Moeen Ali
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সবশেষ বিপিএলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল রানপ্রসবা। নিয়মিত দেখা গিয়েছে বড় স্কোর। সেই ঘরানার উইকেট ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজে দেখা যাবে কিনা নিশ্চিত নন মঈন আলি। তবে এই তারকা ইংলিশ অলরাউন্ডার জানান, উইকেট যেমনই হোক না কেন, আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলবেন তারা।

আগামীকাল বুধবার মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। মিরপুরে দিবারাত্রির ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ১২টায়।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া বিপিএলে খেলেছিলেন মঈন। আসরের শিরোপা জেতা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ধীরগতির হিসেবে পরিচিত মিরপুরের উইকেট সেসময় ছিল গতিময়।

আসন্ন সিরিজে তেমনটা হওয়া নিয়ে সন্দিহান মঈন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আমি নিশ্চিত জানি না। কিউরেটর গত দুই সপ্তাহে কীভাবে উইকেট তৈরি করেছে তার ওপর এটা নির্ভর করবে। আমার মনে হয়, এখানে সাধারণত ভালো উইকেট থাকে। আর ঢাকা ব্যাট করার জন্য সব সময়ই দারুণ জায়গা। তবে বাংলাদেশ দল কী ধরনের উইকেট চেয়েছে সেটার ওপর অবশ্যই এটা নির্ভর করবে।'

অনুশীলনে স্পিনারদের খেলায় বাড়তি তোড়জোড় দেখিয়েছে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। এমনকি পেসার জোফ্রা আর্চারও নেটে করেছেন স্পিন বোলিং। সেটা নিছক মজার ছলে হয়ে থাকলেও উদ্দেশ্য স্পষ্ট।

বাংলাদেশের বাস্তবতা জেনে স্পিনবান্ধব উইকেটই প্রত্যাশা করছেন মঈন, 'হ্যাঁ। যখন আপনি এই ধরনের জায়গাতে (ভারতীয় উপমহাদেশে) আসবেন, আপনি ভালো স্পিন বোলিং আশা করবেন। আমরা জানি, তারা (বাংলাদেশের স্পিনাররা) খুবই ভালো, বছরের পর বছর ধরে তারা এখানে কত ভালো করেছে এবং একটা দল হিসেবে বাংলাদেশ কতটা ভালো করেছে। তবে কেবল স্পিনাররা না, তাদের পেসাররাও খুব ভালো এবং তাদেরকে খেলার জন্য আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। নেটে আমরা বাঁহাতি স্পিনারদের বিপক্ষে খেলেছি, (যেহেতু) বাংলাদেশের (একাধিক বাঁহাতি স্পিনার) রয়েছে।'

গত কয়েক বছরে আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডেতে সাড়ে তিনশ রানকেও মামুলি বানিয়ে ফেলেছে তারা। তাদের পরিষ্কার নীতি, প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া। সেই ধারা এবারও বজায় রাখবে তারা।

গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে খেলে অভ্যস্ত ইংলিশদের স্পিনবান্ধব উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মঈন বলেছেন, 'হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা বিশ্বজুড়ে এটা (আক্রমণাত্মক মনোভাব) করে দেখিয়েছি। এটা ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভবত, ভিন্ন রকমের একটি পরিকল্পনা (করব আমরা)। তবে মানসিকতা সব সময় একই থাকবে। আর উইকেট যেমনই হোক, কেউ যদি খারাপ বল করে, আপনি অবশ্যই মারার চেষ্টা করবেন। আমরা আত্মবিশ্বাসী, এখানে ভালো খেলার মতো খেলোয়াড় আমাদের আছে।'

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

9h ago