শুরুর ধাক্কার পর লিটন-সাকিবের জুটিতে পঞ্চাশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

৭ ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরলেন নাইম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুর সেই ধাক্কা সামলে নিলেন অধিনায়ক লিটন দাস ও অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটির রান ইতোমধ্যে ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ। ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য থাকা বাংলাদেশ পাচ্ছে সহজ জয়ের সুবাস।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। শরিফুল ইসলামের বোলিং নৈপুণ্যে টস হেরে আগে নেমে ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, জবাব দিতে নামা টাইগারদের সংগ্রহ ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৮২ রান। জয়ের জন্য ৩৪ ওভারে তাদের দরকার আর কেবল ৪৫ রান। হাতে আছে ৭ উইকেট।

ক্রিজে আছেন ওপেনার লিটন ৩৮ বলে ৩৪ রানে। চারে নামা সাকিব খেলছেন ৩৫ বলে ৩৩ রানে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৫৪ বলে ৫৪ রান। তাদের জুটি পঞ্চাশ স্পর্শ করে ঠিক ৫০ বলেই। মন্থর শুরু ও ২ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে স্থিতিশীলতা ও গতি এনেছেন তারা।

সিরিজে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। তৃতীয় ওভারেই বাঁহাতি নাইমকে ফেরান পেসার ফজল হক ফারুকি। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। ৮ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি নাইম। আগের ম্যাচেও প্রায় একই কায়দায় ফারুকির শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেদিন তার সংগ্রহ ছিল ২১ বলে ৯ রান।

২ রানে প্রথম উইকেট হারানো স্বাগতিকরা ২৮ রানে ফের ধাক্কা খায়। সপ্তম ওভারে ফারুকিকে চার মারার পরের বলেই বোল্ড হন শান্ত। ড্রাইভ করার চেষ্টায় গড়বড় করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। শান্তর উইকেট নিয়ে জোরালো উদযাপন করেন ফারুকি। কারণ দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ আগেই হয়েছিল কথার লড়াই। তবে শেষ হাসিটা হাসেন ফারুকিই। বাজে একটি সিরিজ কাটানো বাঁহাতি শান্ত এবার আউট হন ১৫ বলে ১১ রানে। আগের দুই ওয়ানডেতে যথাক্রমে ১২ ও ১ রান করেছিলেন তিনি।

এর আগে আফগানদের গুঁড়িয়ে দিতে আগুন ঝরা বোলিং করেন শরিফুল ইসলাম। একাদশে ফিরেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখেন বাঁহাতি পেসার। তার তোপে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় প্রতিপক্ষ। এরপর তাসকিন আহমেদ আর তাইজুল ইসলামও জ্বলে ওঠায় প্রতিরোধ গড়ার উপায় খুঁজে পায়নি হাশমতউল্লাহ শহিদির দল।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং নৈপুণ্য উপহার দেন শরিফুল। ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ২১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তিনি। এই সংস্করণে ৩১ ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো ৪ উইকেটের দেখা পান তিনি। তার আগের সেরা ছিল ২০২২ সালে প্রভিডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৪ রানে ৪ উইকেট। শরিফুলের মতোই একাদশে ফেরা তাসকিন ও তাইজুল যথাক্রমে ২৩ ও ৩৩ রানে ২ উইকেট করে পান।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে আজমতউল্লাহ ওমরজাই কেবল পাল্টা লড়াই চালান। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটিতে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭১ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ৩ ছক্কা।

Comments

The Daily Star  | English
Ducsu election 2025

The final act: Learning to accept election defeat

Ducsu delivers a participatory election. Can unsuccessful candidates accept loss gracefully?

9m ago