বিপাকে বাংলাদেশ, বৃষ্টি শেষে ফের খেলা শুরু

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফিরলেন রনি তালুকদার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। থিতু হয়েও বাজে শটে উইকেট হারালেন লিটন দাস। তাদের বিদায় করে আফগানিস্তান আছে ম্যাচের চালকের আসনে। আর মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় নেমেও বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপর বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। সেকারণে ১৮ মিনিট বন্ধ থাকার পর ফের চালু হলো খেলা।

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছে আফগানরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৪১ রান। অর্থাৎ জয়ের জন্য বাকি ৭৬ বলে ১১৪ রান করতে হবে তাদের। হাতে আছে ৭ উইকেট।

প্রথম ওভারেই ওপেনার রনিকে বোল্ড করেন পেসার ফজলহক ফারুকি। ষষ্ঠ ওভারে স্পিনার মুজিব উর রহমানের ডেলিভারিতে স্টাম্প হারান শান্ত। দুর্ভাগ্য বলতে হবে তার! অনসাইডে খেলতে চাওয়া শান্তর পেছনের হাতে লেগে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প। রনি ৫ বলে করেন ৪ চার। শান্ত আউট হন ১২ বলে ১৪ রানে। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৭ রান।

পরের ওভারেই মাঠ ছাড়েন লিটন। সফরকারীদের পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বাউন্সারে পুল করতে ব্যর্থ হয়ে বল অনেক উঁচুতে তুলে দেন। শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রশিদ খান। ১৯ বলে ২ চারে লিটনের সংগ্রহ ১৮ রান। ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান ও ৫ বলে ১ ও তাওহিদ হৃদয় ৩ বলে ২ রানে।

রাত ৮টা ৩২ মিনিটে এক পশলা বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। সেটা থেমে যেতে একদমই সময় লাগেনি। বৃষ্টির তোড় বেশি না থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায় মাঠ প্রস্তুত করারা কাজ। এরপর ৮টা ৫০ মিনিটে আবার খেলা মাঠে গড়াল। তবে কোনো ওভার কাটা যায়নি।

এর আগে ৮৭ রানে ৫ উইকেট পড়ে গেলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পাল্টা আক্রমণ চালায় আফগানরা। থিতু হয়ে যাওয়া মোহাম্মদ নবি হাত খোলেন। অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন ওমরজাই। আগ্রাসী কায়দায় মাত্র ৩১ বলে ৫৬ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন দুজন। পাঁচে নামা নবি ফিফটি করে অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ৫৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ চার ও ১ ছক্কা। ১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন অলরাউন্ডার ওমরজাই।

বাংলাদেশের ছয় বোলারের- অধিনায়ক সাকিব, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম- সবাই উইকেটের দেখা পান। সবচেয়ে সফল সাকিব বাঁহাতি স্পিনে ২ উইকেট শিকার করেন ২৭ রানে।

ইনিংসের ১৬ ওভার শেষে রশিদের নেতৃত্বাধীন দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১০১ রান। এরপর শেষ চার ওভারে লাগামছাড়া হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলিং। বাকি ২৪ বলে সফরকারীরা তোলে ৫৩ রান। তাসকিন ও সাকিব নিজেদের ওভারে ১৪ রান করে দেন। মোস্তাফিজ তার দুই ওভারে খরচ করেন যথাক্রমে ১৪ ও ১১ রান।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago