অস্ট্রেলিয়া আবেদন করেনি, রানআউট হয়েও বেঁচে গেলেন আলজারি

ছবি: এএফপি

স্টাম্প ভেঙে ফেলেন স্পেন্সার জনসন। আলজারি জোসেফ সেসময় ছিলেন ক্রিজের বাইরে। তারপরও রানআউট দেওয়া হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারকে। কারণ? অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা আবেদনই করেননি!

রোববার অ্যাডিলেডে ঘটে এমন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৪১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে অজিরা। জবাব দিতে নামা ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের ১৯তম ওভারে তৈরি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি।

বল কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে যান আলজারি। তিনি নন-স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই সেখানে থাকা ফিল্ডারের থ্রো পেয়ে স্টাম্প উপড়ে দেন জনসন। টিভি রিপ্লেতে নিশ্চয়তা পাওয়া যায় যে, আলজারি ক্রিজের বাইরে ছিলেন। ফলে ক্রিকেটের মৌলিক নিয়ম অনুসারেই তার আউট হওয়ার কথা। কিন্তু এরপর দেখা মেলে চমকপ্রদ এক দৃশ্যের।

আলজারির রানআউট হওয়ার সিদ্ধান্ত যাচাইয়ের জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেই পাঠাননি নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা আম্পায়ার জেরার্ড অ্যাবুড। এই বিষয়ে তার ভাষ্য, অস্ট্রেলিয়ানরা তো আবেদনই তোলেনি!

ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যাটার আউট হলেও প্রতিপক্ষের কোনো ফিল্ডার যদি আবেদন না করেন, তাহলে কোনো আম্পায়ারই তাকে আউট দেবেন না। ফলে অ্যাবুডের সিদ্ধান্তকে নাকচ করার কোনো উপায় নেই।

কেউ আবেদন না করায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে অ্যাবুড স্টাম্প ঠিক করে ফেলেন। ততক্ষণে জনসনও পরের বল করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেন। কিন্তু স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে টিভি রিপ্লে দেখানোর পর অজি ক্রিকেটাররা জড়ো হতে শুরু করেন আম্পায়ারের আশেপাশে।

টিম ডেভিড এসে বলার চেষ্টা করেন যে, তিনি আবেদন করেছিলেন। তবে সেই দাবি নাকচ করে দেন তার স্বদেশি অ্যাবুড। পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সতীর্থদের শান্ত করতে এগিয়ে আসেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।

কথার লড়াইয়ের মাঝেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন অ্যাবুড। অজিরাও নতুন করে পায়নি আবেদনের সুযোগ। তবে এই বিরল কাণ্ড ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ৩৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।

Comments

The Daily Star  | English

Nepal PM Oli quits as anti-corruption protests spiral, his aide says

The Himalayan country has struggled with political instability and economic uncertainty since protests led to the abolition of its monarchy in 2008.

1h ago