৫০ কোটি টাকায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পন্সর রবি

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন স্পন্সর হয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সাড়ে তিন বছরের জন্য টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে চুক্তি করেছে। চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ২০২৭ সালের জুলাই পর্যন্ত।

শুক্রবার মিরপুরে বিসিবির প্রধান কার্যালয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই পক্ষ। চুক্তি অনুসারে, দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবিকে রবি প্রদান করবে ৫০ কোটি টাকা। টাইগারদের সঙ্গে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিসিবির স্পন্সর হিসেবে যুক্ত ছিল রবি।

আগের স্পন্সর দারাজের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি শেষ হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। এর তিন মাস পর তারা পেয়েছে নতুন স্পন্সর। মাঝে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম-অ্যাওয়ে দুই সিরিজে জাতীয় দলের জার্সিতে ছিল না কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিবি ও রবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পন্সর হিসেবে রবির নাম ঘোষণা করেন। 

রবির এমডি ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, 'এ দেশের ক্রিকেটের অনেক "প্রথম" সাফল্যের সঙ্গে রবির নামটি যুক্ত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রবির "পারবে তুমিও" চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে টাইগাররা আগামীতেও বিশ্বমঞ্চে আরও বড় বড় সাফল্য বাংলাদেশের জন্য নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে আবারও নিবিড়ভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে রবি গর্বিত। সব বাধা পেরিয়ে সামনে এগোনোর এ রোমাঞ্চকর যাত্রায় রবিকে সব সময় পাশে পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট।'

রবিকে স্বাগত জানিয়ে বিসিবির সিইও সুজন বলেন, 'জাতীয় দলের স্পন্সর হিসেবে রবির মতো প্রতিষ্ঠানকে পাশে পেয়ে বিসিবি আনন্দিত। এ পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামনের দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।'

চুক্তির শর্ত অনুসারে, প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো টেলিকম সেবা প্রদানকারী ব্র‍্যান্ডের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। তবে আগে যেসব চুক্তি হয়েছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে গ্রামীণফোনের।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago