শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে কোন দুজন?

soumya sarkar and anmul haque bijoy
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে ৯ ম্যাচেই ওপেন করতে নামেন লিটন দাস। কিন্তু বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরে ভেঙে যায় তাদের জুটি। তানজিদ একাদশ থেকে হারান জায়গা, লিটন নেমে যান চার নম্বরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে নতুন আরেকটি ওয়ানডে সিরিজের আগেও বড় প্রশ্ন, ওপেন করবেন কারা? কারণ বিশেষজ্ঞ ওপেনার হিসেবে স্কোয়াডে আছেন চার ব্যাটার। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেও ওপেন করে থাকেন মাঝেমধ্যে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কিছুটা হালকা অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনেকেই ছিলেন বিশ্রামে। অনুশীলন করতে দেখা যায়নি পেসারদের কাউকে, দেখা যায়নি লিটন দাসকেও। তবে সম্ভাব্য ওপেনার বাকিরা নেটে সময় দিয়েছেন। এনামুল হক বিজয়, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকারকে পুরোদমেই অনুশীলন করতে দেখা গেছে। নেটে বেশ কিছুটা সময় ব্যাট করেন শান্তও।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষে সিরিজে বিজয়ের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সৌম্য। এই দুজনের জুটি থেকে সাফল্য আসেনি। প্রথম ম্যাচে দলের ১ রানেই আউট হন সৌম্য। বিজয় করেন ৪৩। দ্বিতীয় ম্যাচে দলের ১১ রানে বিজয় আউট হয়ে গেলে সৌম্য খেলেন ১৬৯ রানের ইনিংস। শেষ ম্যাচে ১৫ রান আসার পর চোট পেয়ে অবসর নেন সৌম্য।

এদিকে চারে পাঠানো লিটন প্রথম ম্যাচে ১৯ বলে করেন ২২, দ্বিতীয় ম্যাচে ১১ বলে আউট হন ৬ রান করে। শেষ ম্যাচে ছোট রান তাড়ায় অপরাজিত ছিলেন ২ রানে।

বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে লিটন চারে নাকি ফিরবেন ওপেনিংয়ে তার পুরনো জায়গায় তা নিয়ে প্রশ্ন খোলাসা করতে চাননি শান্ত,  'কাল যখন ব্যাটিং নামবে তখনই জানতে পারবেন। পুরোটাই দলের পরিকল্পনা। দলের জন্য যার যেখানে প্রয়োজন হবে সেটাই করা হবে। কিন্তু এখন এটা বলতে চাইছি না। '

গত বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডারের অদল-বদল আসে আলোচনায়, বলা ভালো সমালোচনায়। শান্ত নিজেও জানিয়েছিলেন একটা থিতু ব্যাটিং অর্ডার দলের জন্য ভালো। পরিস্থিতিতির দাবিতে কিছু সমন্বয় করতে হলেও থিতু ব্যাটিং অর্ডারই রাখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক,   'গত সিরিজ আমরা যখন নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেললাম তখন খুব একটা বদল হয়নি। সাকিব ভাই নাই, সমন্বয়ে তো একটু এদিক-সেদিক হয় অনেক সময়। উনি থাকলে দলটা করা আমাদের জন্য সহজ হয়। ওটা মাথায় রেখেই আমাদের ব্যাটিং অর্ডারটা সাজাবো। আমাদের দলের জন্য যেটা ভালো হবে ওটাই করার চেষ্টা করব। ব্যাটিং অর্ডার আশা করছি থিতু থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

1h ago