সেঞ্চুরি করেও পাকিস্তানের সাবেক পেসারের ট্রলের শিকার কোহলি

ছবি: এএফপি

চলমান আইপিএলে রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। আসরের রান সংগ্রাহকদের তালিকায় বিস্তর ব্যবধানে ভারতের তারকাই আছেন শীর্ষে। কিন্তু তার দুর্দান্ত ফর্ম সত্ত্বেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ধুঁকছে ভীষণভাবে। পাঁচ ম্যাচে স্রেফ এক জয়ে তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে।

গতকাল শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে কোহলি হাঁকান সেঞ্চুরি। এবারের আইপিএলে এটি তার প্রথম শতরানের ইনিংস। এই প্রতিযোগিতায় সবশেষ সাত ইনিংসে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। কিন্তু কোহলির পারফরম্যান্সকে ম্লান করে দেন জস বাটলার। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূরণের পাশাপাশি রাজস্থানের জয় নিশ্চিত করেন ইংল্যান্ডের তারকা।

ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্সে ট্রলের শিকার হয়েছেন কোহলি। তাকে খোঁচা দিয়ে পাকিস্তানের সাবেক পেসার জুনায়েদ খান লিখেছেন, 'আইপিএলের ইতিহাসের মন্থরতম সেঞ্চুরির জন্য বিরাট কোহলিকে অভিনন্দন।'

ছবি: এএফপি

কেন জুনায়েদ এমন তির্যক বাক্যবাণ ছুঁড়ে দেন কোহলির উদ্দেশে? কারণ হলো ওই মন্থরতম সেঞ্চুরি। জয়পুরে ৬৭ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সেঞ্চুরির জন্য এর চেয়ে বেশি বল খেলেননি আর কোনো ব্যাটার। অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ডে তিনি সঙ্গী হয়েছেন মনিশ পান্ডের। ২০০৯ সালে বেঙ্গালুরুর হয়েই ডেকান চার্জার্সের (এখন বিলুপ্ত) বিপক্ষে ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনিশ।

৩৯ বলে ফিফটি করার পর সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে কোহলি খেলেন আরও ২৮ বল। অন্যদিকে, বাটলার ৫৮ বলেই ঠিক ১০০ রানে গিয়ে বনে যান ম্যাচের নায়ক। তার পাশাপাশি ৪২ বলে ৬৯ রানের আগ্রাসী ইনিংসে দ্যুতি ছড়ান সঞ্জু স্যামসন। ৭২ বলে ১১৩ রানে অপরাজিত থাকা কোহলির ১৫৬.৯৪ স্ট্রাইক রেটের বিপরীতে বাটলারের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭২.৪১। স্যামসন ব্যাটিং করেন ১৬৪.২৮ স্ট্রাইক রেটে।

কোহলিকে ব্যঙ্গাত্মক অভিনন্দন জানিয়েই ক্ষান্ত হননি জুনায়েদ। পাকিস্তানের জার্সিতে ২২ টেস্ট, ৭৬ ওয়ানডে ও ৯ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার পরবর্তীতে এক্সে লিখেছেন, 'কার কারণে আরসিবি হেরেছে বলে আপনাদের মনে হয়?'

এই আইপিএলে কোহলির নামের পাশে এখন পর্যন্ত রয়েছে ৩১৬ রান। রাজস্থানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আগে তিনি পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৭৭ ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার গড় ১০৫.৩৩ ও স্ট্রাইক রেট ১৪৬.৩৩। এখনও দুইশ রানও করতে পারেননি আর কেউ।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls: Security measures tightened at Dhaka University

Voting for the long-awaited Ducsu and hall union elections began this morning after a six-year pause

1h ago