খেলার আগে স্নায়ুচাপে ছিলেন সাইফুদ্দিন

Mohammad Saifuddin
সাইফুদ্দিনের সামনে ছিলো চালেঞ্জ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন প্রায় দেড় বছর আগে। মাঝের এই সময়ে অনেকটা নিভু নিভু অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। চোটে পড়ে অনিশ্চয়তা, পারফরম্যান্সে নড়বড়ে পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নজরের বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। গত বিপিএল দিয়ে ঝলক দেখিয়ে ফেরার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দিনটাও সুখকর হলো তার। তবে এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে ভীষণ স্নায়ুচাপে ছিলেন তিনি, এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময়ও যা এতটা ছিলো না।

শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ বাংলাদেশের অনায়াসে জয়ের দিনে যদিও ম্যাচ সেরা নন সাইফুদ্দিন। পার্শ্বনায়কদের একজন তিনি। তবে বিশ্বকাপ ট্রায়ালের চিন্তায় নিজের কাজটা করতে পারার তৃপ্তি নিশ্চয়ই তার আছে।

এদিন ৪ ওভার বল করে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। প্রথম উইকেটটি পেয়েছিলেন আলগা বল দিয়ে। বাকি দুই উইকেটে নিজের মুন্সিয়ানার ছাপ স্পষ্ট। তার বলে ওপেনার জয়লর্ড গুম্বি আলগা শট খেলে দেন আত্মাহুতি। পরে লুক জঙ্গুইকে গতির তারতম্যে বোকা বানিয়েছেন, ব্লেসিং মুজারাবানিকে ইয়র্কারে করেছেন বোল্ড।

টি-টোয়েন্টিতে এরচেয়ে ভালো বোলিং আছে তার। তবে এবারের ফেরায় জুতসই পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তির কারণ প্রেক্ষাপট। এই প্রেক্ষাপটের কারণেই এদিন খেলতে নামার আগে স্নায়ু চাপে ভুগছিলেন বলে জানান ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার, 'সত্যি বলতে আজকে আমি অনেক নার্ভাস ছিলাম। যদিও এর আগে আন্তর্জাতিক অনেক ম্যাচ খেলেছি, তখন নার্ভাস ছিলাম না। আমার জন্য ভালো করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। হয়ত এক দুই ম্যাচ পরে ফিজ (মোস্তাফিজ) আসবে। সেক্ষেত্রে সেরা একাদশে কি হবে, না হবে ম্যানেজমেন্ট ভালো জানে। চ্যালেঞ্জিং ছিলো। চেষ্টা করেছি ভালোটা দেওয়ার। আরও চারটা ম্যাচ আছে, চেষ্টা থাকবে এটাকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার।'

সাইফুদ্দিন জানান, এবার তার ফেরাটা অনেকটা নবজন্মের মতন। সামনে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ করে নেওয়ার বিষয় থাকায় পারফর্ম করতে মরিয়া ছিলেন তিনি,  'যেহেতু অলমোস্ট ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলাম। আমার জন্য কঠিন ছিলো। যদি আমি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতে চাই তাহলে আমার জন্য এই পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। এর আগেও ২০২১-২০২২ সালে বিশ্বকাপে আমি শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ি পারফরম্যান্সের কারণে। সেজন্য অনেক বেশি সিরিয়াস ছিলাম। চাচ্ছিলাম যে পারফর্ম করার।'

সাইফুদ্দিনের চেয়েও এদিন ভালো বল করেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি পেসার মাঝের ওভারে এলোমেলো করে দেন সফরকারীদের ইনিংস। ১৪ রানে ৩ উইকেট জিম্বাবুয়েকে ১২৪ রানে আটকে তিনিই ম্যাচ সেরা। রান তাড়ায় তিন জীবনে তানজিদ হাসান তামিমের ৪৭ বলে ৬৭ রান তাতে পড়ে গেছে আড়ালে।

পরের ম্যাচগুলোতে সাইফুদ্দিনের নিজেকে কীভাবে মেলে ধরেন তা দেখতে চাইবেন নির্বাচকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Shibir-backed candidates Shadik, Farhad leading in top two Ducsu posts

Counting going on till 6:00am; turnout 78% in polls marked by festivities

5h ago