‘সাইফুদ্দিনের ইনিংসটি ছিলো আউটস্ট্যান্ডিং’
অনায়াসে জয়ের রাস্তাতেই ছিলো বাংলাদেশ। ফিফটি করা অধিনায়ক লিটন দাস আউট হয়ে যাওয়ার পর আচমকা ছন্দপতন। পাঁচে নামা তাওহিদ হৃদয় আর নুরুল হাসান সোহান কয়েকটি ডট বল খেলে বাড়ান চাপ, পরে দুজন পর পর আউট হয়ে গেলে তৈরি হয়ে যায় শঙ্কা। যেখান থেকে দলকে মুক্ত করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিতি থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো ব্যাটিংয়ে মুন্সিয়ানা দেখাতে পারছিলেন না সাইফুদ্দিন। এবার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সুযোগটা কাজে লাগান দারুণভাবে। ১৭১ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ১০ বলে ১৪ রানের সমীকরণে যখন নামেন তখন একটা দোলাচল ছিলো ম্যাচের। নেমেই বাউন্ডারি পেয়ে যান সাইফ। পরে মারেন ছক্কাও। ৭ বলে ১৭ রান করে থাকেন অপরাজিত।
শেষ দিকে তাকে সঙ্গ দিয়ে ৩ বলে ৬ রান করে ম্যাচ শেষ করেন বোলিংয়ের হিরো শেখ মেহেদী হাসান।
নিয়মিত দলে থাকেন সাইফুদ্দিন, দলে এলেও একাদশে সুযোগ মেলা কঠিন হয়ে যায়। এরকম বাস্তবতায় নেমে সাইফুদ্দিনের এমন ব্যাটিংকে প্রংশসায় ভাসালেন সতীর্থ মেহেদী, 'সাইফউদ্দিন অফ-অন থাকে। দলে নিয়মিত সুযোগ পায় না। এছাড়া দেখা যায়, যেদিন ব্যাটাররা ভালো করে, সেদিন টেল এন্ডাররা ব্যাটিং পায় না। আন্তর্জাতিক ম্যাচে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন পরে পরে ব্যাটিং করতে পারে। যদি ওপরে ধস নামে, তখনই কেবল তারা (টেল এন্ডাররা) আগে নামতে পারে।'
'তো অনেক জায়গা থেকেই বলব, সাইফউদ্দিন যে ইনিংসটি খেলেছে, এটা আউটস্ট্যান্ডিং। ওই চাপের সময়ে ওই দুটি বাউন্ডারি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'
এই সিরিজে সাইফুদ্দিনকে দলে নেওয়ার অন্যতম কারণ ছিলো তার ব্যাটিং দক্ষতা। নির্বাচকরা বলছিলেন পেস বলের পাশাপাশি সাত বা আটে সাইফুদ্দিন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। বোলিংয়ে খরুচে থাকলেও ব্যাট হাতে জয়ে ভূমিকা রাখায় আপাতত পাশ মার্ক পেলেন তিনি।


Comments