ম্যাচ জিতিয়ে একাদশে নিয়মিত না থাকা নিয়ে শেখ মেহেদীর অসন্তোষ
জশ লিটলের বলটা এক্সট্রা কাভার দিয়ে সীমানা ছাড়া করে তৃপ্তির হাসি দেন শেখ মেহেদী হাসান। তবে ব্যাট হাতে এই শট নয়, শেখ মেহেদী মূলত কাজের কাজ করেছেন অফ স্পিন বোলিংয়ে। চরম ব্যাকফুটে থাকা দলকে দারুণ স্পেলে ফিরিয়েছেন খেলায়। প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না, দলের সমন্বয়ের কারণে মাঝে মাঝেই একাদশে থাকেন না তিনি। সেটা যে তার পছন্দ নয় সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রকাশ করে দিলেন অকপটে। এমনকি একাদশে না থাকা নিয়ে নাকি কোন ব্যাখ্যাও পান না তিনি।
চট্টগ্রামে শনিবার আয়ারল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ফেরে বাংলাদেশ। ১৭১ রান তাড়ায় ২ বল আগে ম্যাচ শেষ করে লিটন দাসের দল। শেখ মেহেদী বল হাতে ঝলক না দেখালে বাংলাদেশকে হয়ত দুইশোর কাছাকাছি রান তাড়া করতে হতো।
টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ছিলো ১ উইকেটে ৭৪। ৯ ওভারে ৯০ পেরিয়ে গিয়েছিলো দলটি। মেহেদী প্রথম ওভারে এসে ১৩ রান দিলেও বাকি ৩ ওভারে স্রেফ ১২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ৪ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেটের স্পেলটা মূলত ম্যাচ নির্ধারক।
অনিয়মিতভাবে একাদশে এসে খেলা ও পারফর্ম করা তার জন্য কতটা কঠিন, এটা জানতে চাওয়া হলে কূটনৈতিক পথে হাঁটেননি এই অফ স্পিনার, 'এই প্রশ্নের উত্তরটা হয়তোবা হেড কোচ দিতে পারবে। আমাদের ক্যাপ্টেন দিতে পারবে। আমাদের দল নির্বাচনে যারা আছে তারা দিতে পারবে। দেখেন, আমার কাজ হচ্ছে খেলা। তো আপনি যে প্রশ্ন করছেন, আমার জন্য কঠিন (উত্তর দেওয়া).. আসলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি: আপনি যে চ্যানেলে চাকরি করেন, এক মাস এই চ্যানেলে, এক মাস ওই চ্যানেলে চাকরি করলে অবশ্যই আপনার জন্য এটা স্বস্তি-দায়ক না। একইভাবে আমার আমার জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু চেষ্টা করতেছি।'
পরে আবার জানতে চাওয়া একাদশে ঠাঁই না হলে কি কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে? অবাক করে দিয়ে এই প্রশ্নেও স্পষ্টভাবে নেতিবাচক জবাব দেন তিনি, 'না, এটা আমার সঙ্গে কখনো ডিসকাস করেনি। কিন্তু আমার কাজ হচ্ছে খেলা। দেখেন, খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমত বাংলাদেশ দলে খেলা একটা গর্বের বিষয়, প্রাইড এর বিষয়। তো সেটা আমি দশ ম্যাচ পরে খেলি আর নিয়মিত খেলি, এটাই (প্রাইড) গুরুত্বপূর্ণ।


Comments