আইপিএল

রাজস্থানকে বিদায় করে ফাইনালে সানরাইজার্স

Sunrisers Hyderabad

কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে প্রথম কোয়ালিফায়ার হেরেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে আইপিএলের ফাইনালের উঠার দ্বিতীয় চেষ্টায় আর তারা ব্যর্থ হয়নি। টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা রাজস্থান রয়্যালসকে বিদায় করে ফাইনালে পা রেখেছে প্যাট কামিন্সের দল।

শুক্রবার চেন্নাইতে সানরাইজার্সের করা ১৭৫ রানের পুঁজি টপকাতে গিয়ে  ১৩৯  করতে পেরেছে রাজস্থান। ম্যাচ হেরেছে ৩৬ রানের ব্যবধানে। ২৬ মে ফাইনালে তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হচ্ছে আসর জুড়ে রোমাঞ্চকর ক্রিকেট খেলা সানরাইজার্স।

দলের জয়ে বড় অবদান ব্যাটার হেনরিক ক্লাসেনের। ৩৪ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বল হাতে আসল কাজটা সম্মিলিত প্রয়াসে করে সানরাইজার্স। দুই বাঁহাতি স্পিনার মিলে মাঝের ওভারে ঘুরিয়ে দেন খেলা। শাহবাজ আহমেদ ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। ব্যাট হাতে এদিন নীরব থাকলেও অভিষেক বোলিংয়ে ২৪ রান দিয়ে পান ২ উইকেট।

রাজস্থানের হয়ে শুরুতে যশভি জয়সওয়াল (২১ বলে ৪২) ও শেষ দিকে চেষ্টা চালান ধ্রুব জুরেল (৩৫ বলে ৫৬)। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় দলটি আর পেরে উঠেনি। আইপিএলের একদম প্রথম আসরের পর সম্ভাবনা জাগিয়েও আরও একবার শিরোপা জিততে পারল না তারা।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সঞ্জু স্যামসনের দলের। টম কোহলের ক্যাডমোর মন্থর উইকেটে খেলার ভাষা বুঝেননি। ধুঁকে ধুঁকে ১৬ বল খুইয়ে তিনি ফেরেন ১০ রান করে।  জয়সওয়াল অবশ্য দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচে রেখেছিলেন দলকে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিলো তিনি খেলছেন ভিন্ন উইকেটে। স্যামসনকে এক পাশে রেখে রান বাড়াচ্ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। ৮ম ওভারে গিয়ে ভুলটা করে বসেন তিনি। শাহবাজকে রিভার্স সুইপে ছক্কা মেরেছিলেন দুই বল আগেই। রান আসছিল অনায়াসে। কি বুঝে ওই ওভারেই জোর করে আরেক ছক্কার নেশায় দেন ক্যাচ, সেই যে উইকেট পতনের শুরু আর থামানো যায়নি।

অধিনায়ক স্যামসন খেলতে পারেননি দায়িত্বশীল ইনিংস। আগের ম্যাচের হিরো রিয়ান পরাগ এদিন নিষ্প্রভ, রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে আগেভাগে পাঠিয়েও লাভ হয়নি। টার্ন করতে থাকা উইকেটে খাবি খেতে থাকে রাজস্থান। জুরেল প্রদীপ জ্বালিয়েও রাখলেও বাকি আর কেউ আশার সলতে হয়ে জ্বলতে পারেননি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সানরাইজার্স। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ছক্কা মারা ব্যাটার অভিষেক এক ছয়, এক চারেই থামান দৌড়। তাকে ফেরানো ট্রেন্ট বোল্ট পরে ফেরান রাহুল ত্রিপাঠি ও এইডেন মার্করামকে। মার্করাম রান না পেলেও ত্রিপাঠি ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন রাজস্থানের। একের পর এক বাউন্ডারিতে নাজেহাল করে ফেলেছিলেন। তবে বেশি দূর এগুনো হয়নি। ৫ চার, ২ ছক্কায় মাত্র ১৫ বলে ৪৭ করে থামেন ডানহাতি ব্যাটার।

৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানো সানরাইজার্সকে টেনে তুলেন ট্রেভিস হেড। হেনরিক ক্লাসেনের সঙ্গে তার জুটি জমে উঠার আভাস ছিলো। ৪২ রানের জুটি থামে সন্দীপ শর্মার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে।

থিতু থাকা বড় মঞ্চের ব্যাটার হেড বিপদজনক হয়ে উঠছিলেন। তাকে গতির তারতম্যে কাবু করেজ সন্দীপ। সন্দীপের বল কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানের ফাঁদে পড়েন অজি ব্যাটার।  এরপর নিতিশ রেড্ডি, আব্দুল সামাদদের দ্রুত হারায় সানরাইজার্স।

বাকি পথে দলের রান বাড়ানোর নায়ক ক্লাসেন। বাউন্ডারি বের করতে পারছিলেন না। কিন্তু ঠিকই খুঁজে নেন ছক্কার রাস্তা।  প্রোটিয়া ব্যাটার ৩৪ বলে ৪ ছক্কায় ঠিক ৫০ রান করে ফেরেন ১৯তম ওভারে। তাতে ১৮০ ছাড়ানো হয়নি তাই সানরাইজার্সের। তবে চেন্নাইর মন্থর উইকেটে ওই রানই হয়েছে যথেষ্ট।

Comments

The Daily Star  | English
Ducsu election 2025

The final act: Learning to accept election defeat

Ducsu delivers a participatory election. Can unsuccessful candidates accept loss gracefully?

9m ago