ধারণার চেয়েও সহজে বাংলাদেশকে হারানোর তৃপ্তি ভারতের

Indian Cricket team

বৃষ্টির কারণে প্রথম তিন দিনে খেলা হয়েছে স্রেফ ৩৫ ওভার। তবু শেষ দুদিনে ফল বের করে নিয়েছে ভারত।  পাঁচ দিনে ১৭৩.২ ওভারেই টেস্ট ম্যাচ জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। ভারত অধিনায়ক রোহিত ও সিরিজ সেরা রবীচন্দ্রন অশ্বিন জানান, চতুর্থ দিনে লাঞ্চের পর বাংলাদেশকে গুটিয়েই জেতার ছক করে ফেলেছিলেন তারা। তবে তাদের ধারণার চেয়েও কাজটা সহজ হয়েছে।

মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে শেষ সেশনেও যায়নি খেলা। দেড় সেশন আগেই ৭ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৭। এরপরের দুদিনে এক বলও খেলা হয়নি। চতুর্থ দিনে নেমে লাঞ্চের পর মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশ থামে ২৩৩ রানে।

ম্যাচ জিতে রোহিত জানান এরপরই জেতার ছক করে ফেলেন তারা। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে নেমে টি-টোয়েন্টির আমেজ নিয়ে আসে ভারত। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ৩৪.৪ ওভারেই তুলে নেয় ২৮৫ রান। বিকেলে বাংলাদেশকে অন্তত ১১ ওভার ব্যাট করিয়ে দুই উইকেট তুলেও শেষ দিনে জেতার রাস্তা করে রাখে তারা।  

ভারত অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দিতে পর্যাপ্ত সময়ের জন্য প্রথম ইনিংসে অলআউট অ্যাটাকে গিয়েছেন তারা,  'আমরা ভাবছিলাম খেলাটা কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। আড়াই দিনের বেশি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেলে চতুর্থ দিনে চেয়েছি ওদের দ্রুত গুটিয়ে দিতে। লাঞ্চের পর যখন ২৩০ রানে ওদের আটকে দেই আমরা চেয়েছি দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের অলআউট করার জন্য পর্যাপ্ত ওভার রাখা।'

এরপর অশ্বিন জানান, ৫২ রানের লিড নিয়ে তাদের ধারণা ছিলো বাংলাদেশকে ২৩০ রানের ভেতর আটকে জেতার মতন সময় বের করতে পারবেন, 'গতকাল যখন ওদের গুটিয়ে দিলাম। রোহিত এসে বলল আমাদের ৮০ ওভার দরকার ওদের অলআউট করার জন্য। (যে চিন্তার আগ্রাসী ব্যাটিং)।  আমাদের চিন্তা ছিলো ওদের ২৩০ রানের ভেতর আটকে রাখলেও চলবে। রোহিত নেমেই প্রথম বলে ছক্কা মারল, সে টোন সেট করে দিল।'

কাজটা পরে হয়েছে আরও সহজ। দ্বিতীয় ইনিংসে কেবল ৪৭ ওভার টিকতে পেরেছেন শান্তরা। করতে পেরেছেন ১৪৬ রান। ভারতের জেতার জন্য দিতে পেরেছেন মাত্র ৯৫ রান।  এজন্য তাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন অশ্বিন, 'আমাদের যেরকম বোলিং আক্রমণ আছে তার অংশ থাকতে পারা গর্বিত।  জেসি (জাসপ্রিট বুমরাহ) যেভাবে বল করল, সিরাজ যেভাবে অংশ নিল, আকাশ যেভাবে অবদান রাখল। জাড্ডুকে (জাদেজা) নিয়ে বলার কিছু নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

A newspaper, a nation, and the ashes of memory

The English daily contributed to exposing Hasina's tyranny and corruption.

13h ago