চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে ‘পাকিস্তান’ লিখতে বিসিসিআইয়ের অস্বীকৃতি

আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে স্বাগতিক পাকিস্তানের নাম লিখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যম। প্রতিবাদে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে আসছে বিসিসিআই।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা কম হয়নি। পাকিস্তানের মাটিতে ভারত খেলতে যেতে না চাওয়ায় শেষমেশ হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজিত হবে আসরটি। ভারত তাদের সবগুলো ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। ওই সমস্যার সমাধান হলেও এবার তৈরি হয়েছে নতুন ঝামেলা।

দুই দেশের গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, সেটাও তৈরি করেছে বিসিসিআই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে লোগোর নিচে আয়োজক পাকিস্তানের নাম ছাপাতে রাজী নয় তারা। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য পাকিস্তানে না পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার বিসিসিআইয়ের আপত্তির কথা প্রকাশিত হওয়ার পর পিসিবি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'বিসিসিআই ক্রিকেটে রাজনীতি নিয়ে এসেছে, যা এই খেলার জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। তারা পাকিস্তান সফর করতে অস্বীকৃতি জানায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধিনায়ককেও তারা পাঠাতে চাচ্ছে না। আর এখন জানা গেছে, আয়োজক দেশের নাম জার্সিতে ছাপাতে চায় না তারা। আমাদের বিশ্বাস, বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) এটা হতে দেবে না এবং পাকিস্তানের পাশে থাকবে।'

আইসিসি আয়োজিত আসরগুলোতে সব দলের জার্সিতে প্রতিযোগিতার লোগো থাকে। এর নিচে মূল স্বাগতিক দেশের নাম (এক বা একাধিক) ও আয়োজনের সাল লেখা থাকে। সব দলকেই এই নিয়ম মেনে চলতে হয়।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন উদ্ভূত পরস্থিতি নিয়ে জানতে আইসিসির এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সবকিছু প্রত্যাখ্যান করেছেন, 'প্রতিটি দলের দায়িত্ব তাদের জার্সিতে আসরের লোগো যুক্ত করা। সব দল এই নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য।'

প্রায় আট বছরের ব্যবধানে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। পাকিস্তান মূল আয়োজক হলেও ভারতের ম্যাচগুলো হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে। 'এ' গ্রুপে তাদের সঙ্গে আছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

4h ago