ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রূপগঞ্জে নাম লেখালেন সাকিব

Shakib Al Hasan
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে নাম লিখিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ক্লাবটির হয়ে খেলতে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

রূপগঞ্জের এক কর্মকর্তার সূত্রে এই খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। সাকিবকে দলে নেওয়ার খবর জানিয়ে ওই কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'ক্রিকেটীয় কারণে আমরা সাকিবকে দলে নিয়েছি। সে দেশে আসতে পারলে আমাদের হয়ে খেলবে। না আসতে পারলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার।'

রাজনৈতিক কারণে সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকেই মূলত সংশয়। গত বিপিএলে তাকে দলে নিয়েছিলো চিটাগাং কিংস। কিন্তু বিপিএল খেলতে সাকিব দেশে ফিরতে পারেননি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে সংসদ নির্বাচিত হন সাকিব। গত জুলাই মাসে তিনি দেশের বাইরে যান। অগাস্টে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে বদলে যায় প্রেক্ষাপট। অনেকের মতন একাধিক মামলায় আসামী হন সাকিব, এরমধ্যে আছে হত্যা মামলাও।

৫ অগাস্টের পরও অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন তিনি। পাকিস্তান ও ভারত সফর করেন। ভারতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে বলেন বিদায়ী টেস্ট খেলতে চান দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে শেষ করতে চান লাল-সবুজের হয়ে অভিযান। কিন্তু তার কোন চাওয়াই পূরণ হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে স্কোয়াডে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত এসে আটকে যান। সরকারের পর্যায় থেকে নিরাপত্তার কারণে তাকে দেশে ফিরতে বারণ করা হয়। এই সময়ে সাকিবের পক্ষে বিপক্ষে দুই গ্রুপের সংঘাত ছিলো প্রকাশ্যে।

এরপর বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ধরা পড়ে তার। দুই দফা পরীক্ষা দিয়েও উৎরাতে পারেননি। কেবল ব্যাটার হিসেবে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে না নেওয়ার কথা জানান নির্বাচকরা, যদিও অ্যাকশন ইস্যুর আগেই তার খেলা ছিলো অনিশ্চয়তায়।

অ্যাকশন অবৈধ হলেও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করতে বাধা নেই সাকিবের। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ সেই কারণেই তাকে দলে নিয়েছে। তবে সাকিব দেশে ফিরে খেলতে পারবেন কিনা তা একদমই অনিশ্চিত।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। লিগ উপলক্ষে রবি ও সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হচ্ছে দল-বদল। শনিবার অনলাইনে সাকিব নিজের ফরম পূরণ করে সিসিডিএমে জমা দেন। 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago