'ভারত সুবিধা পাচ্ছে এটা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানি হতে হয় না'

এই বিষয়ে আলোচনা বহুদিন ধরেই চলছে, তবে এখানে নতুন সংযোজন দক্ষিণ আফ্রিকার রাসি ফন ডার ডুসেন। চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের এক ভেন্যুতে খেলার সুবিধা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন এই প্রোটিয়া তারকা।

দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটার ফন ডুসেন স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এটা বোঝার জন্য "রকেট বিজ্ঞানী" হওয়ার দরকার নেই যে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ খেলার সুবিধা ভোগ করছে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ পাকিস্তানে সফর করতে অস্বীকৃতি জানায় বিসিসিআই। ফলে, ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলছে। ইতোমধ্যেই দুইটি গ্রুপ ম্যাচ শেষ হয়েছে, আর একটি বাকি আছে, সেমি-ফাইনালে ওঠায় সেই ম্যাচটিও হবে এই স্টেডিয়ামে। তবে বিতর্ক এখনও অব্যাহত।

ভারতের ভ্রমণ পরিকল্পনা ও আইসিসির হাইব্রিড মডেল ঘোষণার পর থেকেই এই আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। সেখানে ফন ডুসেনের মন্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  ভারতের সুবিধা নিয়ে বলেছেন, 'এটা (সুবিধা) ঠিকভাবে কাজে লাগানোর চাপ এখন তাদের ওপরই।'

'যদি আপনি এক জায়গায় থাকতে পারেন, একই হোটেলে থাকতে পারেন, একই অনুশীলন সুবিধা ব্যবহার করতে পারেন, একই স্টেডিয়ামে বারবার খেলতে পারেন, তাহলে এটি অবশ্যই একটি সুবিধা। আমি মনে করি না যে এটা বোঝার জন্য রকেট বিজ্ঞানী হওয়া দরকার,' বলেন ডুসেন।

এই সুবিধার উল্টো চাপও দেখছেন এই প্রোটিয়া, 'এখন দায়িত্ব তাদের ওপর, তারা এই সুবিধা কতটা কাজে লাগাতে পারে। এক দিক থেকে এটি তাদের ওপর আরও চাপ তৈরি করবে, কারণ যারা সেমিফাইনাল বা সম্ভাব্য ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হবে, তারা ওই কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত থাকবে না, আর ভারত সেই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। সুতরাং, তাদের ওপর চাপ থাকবে যেন তারা এই সুবিধা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারে, কারণ তাদের কাছে এই বিষয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে।'

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অপেক্ষা করছে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য! যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ের পর তারা স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে, তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়েছে। তাই, এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করতে চাইবে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago