আনিসুলের সেঞ্চুরির পরও মোহামেডানের মাঝারী পুঁজি

আনিসুল ইসলাম ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন যখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন তখন মনে হয়েছিল তিনশ রান ছাড়িয়ে যাওয়া কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। হতে পারে আরও বড় পুঁজি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই কি যেন হয়ে গেলো মোহামেডানের। উল্টো ব্যাটিং ধসে মাঝারী পুঁজি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সাদা-কালোদের।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ২৬৪ রানের পুঁজি গড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। খেলতে পারেনি পুরো ৫০ ওভার। ১০ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় দলটি।

মোহামেডানের ব্যাটিং লাইন আপের মূল স্তম্ভই ছিলেন আনিসুল। করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ১১৮ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলে গতি তারকা নাহিদ রানা বলে আউট হয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৮টি চার ও ২টি ছক্কায়। এছাড়া ৫৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন অঙ্কন।

অথচ রনি তালুকদারের সঙ্গে শুরুটা ভালোই ছিল মোহামেডানের। ২২ রানের ওপেনিং জুটির পর নাহিদের শিকার হব রনি। এরপর মাঠে নামেন অঙ্কন। আনিসুলের সঙ্গে গড়েন ১২৩ রানের অসাধারণ এক জুটি। এ জুটি ভাঙার পর সে অর্থে আর দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউ।

মোহামেডানের ইনিংসটি ছিল আনিসুলময়। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। রিপন মণ্ডলের করা দশম ওভারে টানা তিনটি চারের পর একটি ছক্কা মারেন আনিসুল। যোগ্য সঙ্গ পান অঙ্কনের কাছ থেকেও।

ইনিংসের অর্ধেক (২৫ ওভার) যেতে এক উইকেটে ১৫৬ রান করে মোহামেডান। স্পিনার রাকিবুল হাসানের করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ভাঙে জুটি। বোল্ড হয়ে যান অঙ্কন। এরপর তাওহিদ হৃদয় নেমে মাহফুজুর রাব্বির বলে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে।

হতাশ করেন দুই অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। যথাক্রমে ২০ ও ১৭ রান করে বিদায় নেন তারা। পারেননি আরেক অভিজ্ঞ মেহেদী হাসান মিরাজও। লেজের ব্যাটারদের থেকেও আসেনি সমর্থন। ফলে মাঝারী পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মোহামেডানকে।

আবাহনীর পক্ষে ৪৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার নাহিদ রানা। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান রাকিবুল, মাহফুজুর ও মৃত্যুঞ্জয়। 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago