রোহিত-কোহলির ওয়ানডের ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘খোলামেলা আলোচনা’ করবে বিসিসিআই

rohit sharma and virat kohli

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা যখন একসঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন যে এটি তাঁদের টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্যারিয়ার দীর্ঘ করার একটি সচেতন সিদ্ধান্ত। এরপর মাস দুয়েক আগে যখন দু'জনেই পাঁচ দিনের ব্যবধানে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন- তখন ধারণা করা হয়েছিল ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ফিট এবং প্রস্তুত থাকার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই একমাত্র সীমিত ওভারের আইসিসি টুর্নামেন্ট, যা তাঁরা এখনও একসঙ্গে জেতেননি। তবে এখন মনে হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই বছর পর হতে যাওয়া বিশ্বকাপের পথ তাদের জন্য ততটা সহজ নয়।

ভারতীয় দলে টেস্টে যেভাবে দ্রুত পরিবর্তন আসছে, একই ধরনের প্যাটার্ন ওয়ানডেতেও প্রয়োগ হতে পারে। মানে অনেক বেশি তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসায় কোহলি এবং রোহিতের আরেকটি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা এখন আর নিশ্চিত নয়।

২০২৩ সালটা কোহলির দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা এবং রোহিতের প্রথমবার জেতার জন্য এক নিখুঁত মঞ্চ হতে পারতো। তবে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া সেই হতাশাজনক ফলাফল ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই কিংবদন্তির জন্য এক অপূর্ণ স্বপ্ন রেখে গেছে।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিত পরের বিশ্বকাপের জন্য ফিট এবং প্রস্তুত থাকতে পুরোদমে চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে গত আইপিএল শুরুর ঠিক আগে আরসিবি এক ইভেন্টে কোহলি নিশ্চিত করেন তার পরের বড় লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ জেতা।

কিন্তু পরিস্থিতি আভাস দিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)'র ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। রোহিত এবং কোহলি আর বিশ্বকাপের জন্য নিশ্চিত নন। বোর্ডের নীতি নির্ধারকরা এই দুজনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।

একটি সূত্র প্রেস ট্রান্স অব ইন্ডিয়াকে(পিটিআই) জানিয়েছে, 'হ্যাঁ, খুব শীঘ্রই এটি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরের বিশ্বকাপের (নভেম্বর ২০২৭) জন্য আমাদের হাতে এখনও দুই বছরেরও বেশি সময় আছে। ততদিনে কোহলি এবং রোহিত দু'জনেরই বয়স ৪০-এর কাছাকাছি হবে, তাই বড় এই টুর্নামেন্টের জন্য একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার, কারণ আমরা শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিলাম ২০১১ সালে। আমাদের কিছু তরুণ খেলোয়াড়কেও সময়মতো সুযোগ দিতে হবে।'

বয়স ছাড়াও আরেকটি বড় কারণ যা কোহলি এবং রোহিতের জন্য বাধা হতে পারে তা হলো সীমিত ম্যাচ খেলার সুযোগ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ভারত প্রচুর টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাঁকে ২৭টি ওয়ানডে খেলবে। কোহলি এবং রোহিত অনিয়মিতভাবে কেবল ওয়ানডেতে খেললে তারা পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।

আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত। এই দুজনকে জাতীয় দলে আবার দেখা যেতে পারে তখন। এরপর  নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও তিনটি ওয়ানডে খেলবে ভারত। এসব সিরিজে তরুণদের বাজিয়ে দেখার সুযোগ নিতে চায় বিসিসিআই।

সূত্রের ভাষ্যে পিটিআই জানায়, 'কোহলি এবং রোহিত দু'জনেই দলের এবং সাধারণভাবে ক্রিকেটের জন্য সাদা বলের ফরম্যাটে বিশাল অবদান রেখেছেন। তারা প্রায় সবকিছুই অর্জন করেছেন। তাই, আমি মনে করি না কেউ তাদের উপর জোর করবে, তবে পরের ওয়ানডে চক্র শুরু হওয়ার আগে তাঁদের মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা কোথায় আছে তা দেখতে কিছু খোলামেলা এবং পেশাদার আলোচনা হবে। এটি তার উপর নির্ভর করে।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

9h ago