‘পিচকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না’

Farzana Haque Pinky

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ব্যাটিংয়ে অনেকটাই অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির উপর নির্ভর করে। তবে আসন্ন আইসিসি নারী বিশ্বকাপে তবে ৩০  ওপেনার ফারজানা হক পিংকির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আগের আসরে সাত ম্যাচে ১৭৩ রান করে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ফারজানা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে এই ওপেনার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

সামগ্রিক প্রস্তুতি নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?

ফারজানা: আমরা অনেক দিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি, কিন্তু... শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রস্তুতির মান বিশ্বকাপে দেখা যাবে, যা চার বছর পরপর আসে—টি২০ বিশ্বকাপের মতো নয় (দুই বছর পর পর) — তাই আমরা এটিকে কাজে লাগানোর জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আপনি সাভারের বিকেএসপিতে চ্যালেঞ্জ কাপে খেলছেন। বিশ্বকাপের জন্য আদর্শ পিচ কি এখানে পাওয়া যাচ্ছে?

ফারজানা: প্রথমে বিকেএসপির উইকেটগুলো খুব খারাপ ছিল, কিন্তু গ্রাউন্ডসম্যানরা কঠোর পরিশ্রম করে সেগুলোকে খেলার উপযোগী করে তুলেছে। আমি মনে করি, পিচকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না, কারণ ১৫ বছর ধরে আমি এমন পরিস্থিতিতে খেলছি। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সবসময় ফ্ল্যাট উইকেটে খেলে এবং এ কারণেই তাদের মানসিকতা ভিন্ন। আমাদের যা কিছু দেওয়া হয়, সে অনুযায়ী মানিয়ে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।

এই দলের শক্তি ও দুর্বলতা কী?

ফারজানা: আমাদের শক্তি হলো যে সবাই জানে আমরা কেবল দল হিসেবেই সফল হতে পারি, ব্যক্তি হিসেবে নয়। জ্যোতি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, কিন্তু সে জানে যে একা ম্যাচ জেতানো সম্ভব নয়। আমাদের জয়গুলোতে দলের সবার অবদান থাকে। আমাদের এমন কোনো সুপার ব্যাটার নেই যে ১০০-১৫০ স্ট্রাইক রেটে খেলে একাই ম্যাচ শেষ করে দেবে, তবে আমাদের স্পিন আক্রমণ বিশ্বমানের। দুর্বলতা হলো পেস — বোর্ড যদি দ্রুতগতির বোলারদের তৈরিতে বিনিয়োগ করে, তাহলে আমরা আরও অনেক বেশি পরিপূর্ণ একটি দল হয়ে উঠতে পারব।

কম স্ট্রাইক রেটের জন্য প্রায়ই আপনি সমালোচিত হন। এটি আপনি কীভাবে দেখেন?

ফারজানা: দেশের মাঠে আমরা সাধারণত ধীরগতির, নিচু উইকেটে খেলি। আমার ভূমিকা হলো ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আমি মানি যে আমার থিতু হতে সময় লাগে, কিন্তু আমার মনোযোগ সবসময় দলকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রাখার দিকে থাকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর থেকে আমি স্ট্রাইক রোটেট করা এবং পাওয়ারপ্লেতে আমার ব্যাটিংয়ের উন্নতির জন্য কাজ করেছি, এমনকি ব্যক্তিগত কোচের সাহায্যও নিয়েছি। বাছাইপর্বে আপনি অগ্রগতি দেখতে পেয়েছেন, বিশেষ করে পাওয়ারপ্লেতে।

এটি আপনার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আপনার লক্ষ্য কী?

ফারজানা: আমরা অনেক বড় প্রত্যাশা নিয়ে যাচ্ছি। আমি এমন দাবি করব না যে আমরা অসাধারণ কিছু করব, কিন্তু যদি সবাই অবদান রাখে, তাহলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি।

Comments

The Daily Star  | English
honor smartphone inside

How to build a smartphone

Smartphones feel inevitable in the hand, yet each one begins as a set of drawings, components and hypotheses. The journey from concept to finished device is a carefully sequenced collaboration between design labs, supplier networks and high-throughput assembly lines. In leading electronics hubs across Asia, that journey can take as little as days once a design is frozen and parts are on site.

3h ago