লিটনের ফিফটি ও ছক্কার রেকর্ড, হংকংকে উড়িয়ে শুরু বাংলাদেশের

বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে 'বি' গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে অধিনায়ক লিটন দাসের নৈপুণ্যে ১৪৪ রানের সাদামাটা লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেল ১৪ বল হাতে রেখে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
হংকং: ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (জিশান ৩০, অংশুমান ৪, হায়াত ১৪, নিজাকাত ৪২, মুর্তজা ২৮, আইজাজ ৫, কিঞ্চিত ০, কালহান ৪*, এহসান ২*; মেহেদী ৪-০-২৮-০, তাসকিন ৪-০-৩৮-২, তানজিম ৪-১-২১-২, মোস্তাফিজ ৪-০-২২-০, রিশাদ ৪-০-৩১-২)
বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ১৪৪/৩ (পারভেজ ১৯, তানজিদ ১৪, লিটন ৫৯, হৃদয় ৩৫* জাকের ০*; আয়ুশ ৩-০-৩২-১, আতিক ৩.৪-০-১৪-২, এহসান ৩-০-২৮-০, মুর্তজা ৪-০-৩৯-০, আইজাজ ৩-০-১৪-০, কিঞ্চিত ১-০-১১-০)
হংকংকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
ম্যাচ শেষ করে ফিরতে পারলেন না লিটন দাস। বাংলাদেশের অধিনায়ক দারুণ ব্যাটিংয়ে ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে আউট হলেন জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করলেন তিনি। ৩৯ বল খেলে তিনি মারলেন ছয়টি চার ও একটি ছক্কা।
হংকংয়ের আতিক ইকবালের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে লিটন বোল্ড হওয়ার পর ক্রিজে গেলেন জাকের আলী অনিক। লেগ বাই থেকে এক রান আসায় স্ট্রাইক পেলেন তাওহিদ হৃদয়। পরের বলটি হলো ডট। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে বাংলাদেশকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন হৃদয়। তিনি অপরাজিত থাকলেন ৩৬ বলে ৩৫ রানে।
৪৭ রানের মধ্যে বাংলাদেশের দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম সাজঘরে ফেরার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন ও হৃদয় যোগ করলেন ৭০ বলে ৯৫ রান। তাদের কল্যাণে প্রত্যাশিত জয় পেল টাইগাররা।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী শনিবার। আবুধাবিতেই তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়লেন লিটন

১৬তম ওভারের প্রথম বলে ইয়াসিম মুর্তজাকে ছক্কা মারলেন লিটন দাস। এতে তিনি পৌঁছে গেলেন চূড়ায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড এখন তার। এটি ছিল লিটনের ৭৮তম ছক্কা (১০৯ ইনিংস)। তাতে পেছনে পড়লেন এতদিন যৌথভাবে শীর্ষে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১৩০ ইনিংসে ৭৭টি ছক্কা)।
বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে লিটনের ফিফটি
দীর্ঘ সময় ধরে কোনো বাউন্ডারি আসছিল না। কিঞ্চিত শাহের করা ১৩তম ওভারে চার মেরে সেই খরা কাটালেন লিটন দাস। এরপর বাংলাদেশের অধিনায়ক যেন তেতে উঠলেন ব্যাট হাতে! আয়ুশ শুক্লার ওভারে দুটি চার, এহসান খানের ওভারে একটি চার ও ইয়াসিম মুর্তজার ওভারে একটি করে ছক্কা ও চার হাঁকালেন।
বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে লিটন ফিফটিতে পৌঁছালেন ৩৩ বলে। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ১৫তম ফিফটি।
লিটনের উত্তাল ব্যাটে চড়ে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল। সবশেষ ৪ ওভারে ৪৯ রান তুলেছে তারা। ১৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৮ রান। ২৪ বলে আর মাত্র ৬ রান দরকার তাদের।
লিটন-হৃদয়ের জুটির পঞ্চাশ, বাংলাদেশের একশ

কিঞ্চিত শাহের করা ১৩তম ওভারের শেষ দুটি বলেই ডাবল নিলেন তাওহিদ হৃদয়। প্রথমটির মাধ্যমে পূর্ণ হলো তার সঙ্গে অধিনায়ক লিটন দাসের তৃতীয় উইকেট জুটির পঞ্চাশ, ৪৪ বলে। পরেরটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ স্পর্শ করল শতরান, ৮০ বলে।
বাকি ৭ ওভারে হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের জন্য ৪৪ রান দরকার টাইগারদের। লিটন ২৪ বলে ২৬ ও হৃদয় ২৪ বলে ২৫ রানে ক্রিজে আছেন। তারা কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দেখেশুনে এগোচ্ছেন। বাউন্ডারি মারার চেষ্টার চেয়ে বরং সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে রান বাড়াচ্ছেন দুজন।
বাংলাদেশের চাই ৭০ রান, হাতে ৮ উইকেট
লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ তুলল ২ উইকেটে ৭৪ রান। অধিনায়ক লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় চালিয়ে খেলতে পারছেন না। দুজনই ১৫ বলে ১৪ রানে ক্রিজে আছেন। বাকি ১০ ওভারে হাতে ৮ উইকেট নিয়ে আরও ৭০ রান দরকার টাইগারদের।
এর আগে হংকং প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৪ রান তুলেছিল। দলটি পরের ১০ ওভারে আনতে পারে ৫ উইকেটে ৭৯ রান।
মাহমুদউল্লাহকে ছাড়িয়ে লিটন
সপ্তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এলেন হংকংয়ের দলনেতা ইয়াসিম মুর্তজা। তার চতুর্থ ডেলিভারিতে জায়গা বানিয়ে কভার দিয়ে চার মারলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। এতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেলেন তিনি। এই ম্যাচ (১১১তম) তিনি খেলতে নেমেছেন ২৪৩৭ রান নিয়ে।
লিটন পেছনে ফেললেন ১৪১ ম্যাচের ১৩০ ইনিংসে ২৪৪৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। এখন তার ওপরে আছেন কেবল সাকিব আল হাসান (১২৯ ম্যাচের ১২৭ ইনিংসে ২৫৫১ রান)।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ রান ২ উইকেটে ৫১
ক্রিজে যাওয়ার এক বল পরেই চার মারলেন তাওহিদ হৃদয়। বাংলাদেশ দল পাওয়ার প্লে শেষ করল ২ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে। হৃদয় ২ বলে ৪ ও অধিনায়ক লিটন দাস ৩ বলে ৩ রানে ক্রিজে আছেন।
টিকলেন না তানজিদ

পাওয়ার প্লের ভেতরে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমনের পর সাজঘরের পথ ধরলেন তানজিদ হাসান। আতিক ইকবালের মন্থর ডেলিভারি সোজা মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দিলেন তিনি। শুরুতে বলের গতিপথ ঠিকঠাক বুঝতে না পারলেও সামলে নিলেন নিজাকাত খান। মিড অন থেকে পেছনের দিকে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন তিনি।
ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো ৪৭ রানে। তানজিদের ব্যাট থেকে এলো একটি চারে ১৮ বলে ১৪ রান। ক্রিজে অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
ইমনের বিদায়ে ভাঙল ওপেনিং জুটি
আকাশে উঠিয়ে মিড-অফে ধরা পড়লেন পারভেজ হোসেন ইমন। আয়ুশ শুক্লার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে স্লোয়ার বল বুঝতে পারেননি ইমন। দ্রুত শট খেলতে গিয়ে ব্যাটের নিচ থেকে হাত সরে যায়। বল উঠে যায় আকাশে। সেই ক্যাচ ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি বাবর হায়াতের। ১৪ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৯ রান করেন ইমন।
৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৪ রান। তানজিদ হাসান তামিম ৩ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে নেমেছেন অধিনায়ক লিটন দাস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
হংকং: ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (জিশান ৩০, অংশুমান ৪, হায়াত ১৪, নিজাকাত ৪২, মুর্তজা ২৮, আইজাজ ৫, কিঞ্চিত ০, কালহান ৪*, এহসান ২*; মেহেদী ৪-০-২৮-০, তাসকিন ৪-০-৩৮-২, তানজিম ৪-১-২১-২, মোস্তাফিজ ৪-০-২২-০, রিশাদ ৪-০-৩১-২)
বাংলাদেশকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দিল হংকং

শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদ নিলেন আইজাজ খানের (৬ বলে ৫ রান) উইকেট। বাংলাদেশের এই ডানহাতি পেসার দিলেন ৯ রান। সব মিলিয়ে হংকং নির্ধারিত ২০ ওভারে করল ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৬৪ রান তোলা দলটি পরের ১০ ওভারে আনে ৫ উইকেটে ৭৯ রান।
বাংলাদেশ ব্যবহার করে পাঁচ বোলার। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন, তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন। তবে তাসকিন ছিলেন খরুচে। তিনি দেন ৩৮ রান। তানজিম ২১ ও রিশাদ ৩১ রান খরচ করেন। কোনো উইকেট না পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান ২২ ও শেখ মেহেদী হাসান ২৮ রান দেন।
হংকংয়ের হয়ে ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন নিজাকাত খান। ওপেনার জিশান আলীর ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৩০ রান। ১৯ বলে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা।
রিশাদের টানা দুই বলে আউট নিজাকাত ও কিঞ্চিত
১৯তম ওভারের শেষ দুটি ডেলিভারিতে জোড়া শিকার ধরলেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। হংকংয়ের পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পড়ল ১৩৪ রানে।
পঞ্চম বলটি উড়িয়ে মারার চেষ্টায় নিজাকাত খান ক্যাচ দিলেন তানজিম হাসানের হাতে। দুটি চার ও একটি ছক্কায় হংকংয়ের পক্ষে ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৪২ রান করলেন তিনি। শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পেলেন কিঞ্চিত শাহ। তিনি রিভিউ নিলেও কাজ হলো না।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মুর্তজা রানআউট, বাংলাদেশের স্বস্তি
১৮তম ওভারের প্রথম বলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ইয়াসিম মুর্তজা হলেন রানআউট। দুটি করে চার ও ছক্কায় তার সংগ্রহ ১৯ বলে ২৮ রান। ভাঙল ৩৪ বলে ৪৬ রানের জুটি। হংকং চতুর্থ উইকেট হারাল ১১৭ রানে।
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে স্ট্রাইকে থাকা নিজাকাত খানের শট সরাসরি গেল এক্সট্রা কভারে থাকা রিশাদ হোসেনের হাতে। নিজাকাত রান নেওয়ার কথা একদমই ভাবেননি। কিন্তু ইয়াসিম ছুটে গেলেন রানের জন্য। রিশাদের থ্রো ধরে বোলিং প্রান্তে মোস্তাফিজ যখন স্টাম্প ভাঙলেন, তখন ক্রিজ থেকে বহুদূরে মুর্তজা।
শেষ ৪ ওভারের আগে
১৬ ওভার শেষে হংকংয়ের রান ৩ উইকেটে ১০৭। নিজাকাত খান ৩১ বলে ২৪ রানে খেলছেন। তার ইনিংসে কোনো বাউন্ডারি নেই। দলটির অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা ক্রিজে আছেন ১৫ বলে ২৩ রানে।
মুর্তজার কল্যাণে আগের ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৯ রান এনেছে হংকং। অর্থাৎ দ্রুত রান তোলার দিকে নজর তাদের। বাংলাদেশের বোলারদের লক্ষ্য থাকবে বাকি ৪ ওভারে যতটা সম্ভব আঁটসাঁট থাকা।
হংকংয়ের একশ
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে আছেন হংকংয়ের অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে তিনি লং অন দিয়ে ছক্কা মারলেন শেখ মেহেদী হাসানকে। এতে পূর্ণ হলো হংকংয়ের দলীয় শতরান। তাদের প্রথম পঞ্চাশ এসেছিল ৫১ বলে। পরের পঞ্চাশটি এলো বেশ দ্রুত, ৩৯ বলে।
জিশানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন তানজিম
আক্রমণে ফিরে জিশান আলীকে সাজঘরে পাঠিয়ে জুটি ভাঙলেন তানজিম হাসান। তার করা দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলটি একটু লাফিয়ে উঠেছিল। হংকংয়ের ওপেনার টাইমিং ঠিকঠাক করতে না পারায় বল উঠে যায় উঁচুতে। মিড উইকেট থেকে পেছনের দিকে দৌড়ে দারুণ একটি ক্যাচ নিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
হংকংয়ের তৃতীয় উইকেট পড়ল ৭১ রানে। ভাঙল ৪১ বলে ৪১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৪ বলে ৩০ রান করলেন জিশান। ক্রিজে নিজাকাত খানের সঙ্গী অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওভারটি মেডেন নিলেন ডানহাতি পেসার তানজিম।
জিশান-নিজাকাতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় হংকং

ইনিংসের মাঝপথে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছে হংকং। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৪ রান। জিশান আলী ২৮ বলে ২৪ ও নিজাকাত খান ১৬ বলে ১২ রানে ক্রিজে আছেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটির সংগ্রহ ৩২ বলে ৩৪ রান।
রিশাদের খরুচে ওভার
নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের নবম ওভারে সুবিধা করতে পারলেন না রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনার খরুচে বোলিংয়ে দিলেন ১৩ রান। ক্রিজে অস্বস্তিতে থাকা ওপেনার জিশান আলী খোলস ভাঙার চেষ্টায় মারলেন একটি করে ছক্কা ও চার। ওভারের শুরুতে তার সংগ্রহ ছিল ২২ বলে ৮ রান। এখন জিশান খেলছেন ২৬ বলে ১৯ রানে। একবার আম্পায়ার্স কলে বাঁচার পর আরেকবার তাওহিদ হৃদয় থ্রো স্টাম্পে রাখতে না পারায় টিকে গেছেন তিনি।
পাওয়ার প্লেতে হংকংয়ের ৩৪ রান, বাংলাদেশের ২ উইকেট
পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে দাপট দেখাল বাংলাদেশ দল। ৬ ওভার শেষে হংকংয়ের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৪ রান। খোলসে বন্দি ওপেনার জিশান আলী ১৬ বলে ৫ রানে খেলছেন। চারে নামা নিজাকাত খান ক্রিজে আছেন ৪ বলে ৪ রানে।
এই সময়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস ব্যবহার করেছেন চার বোলার। উইকেটের দেখা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান। দুই ডানহাতি পেসার দুটি করে ওভার করেছেন। অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ও বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান হাত ঘুরিয়েছেন এক ওভার করে।
ছক্কা হজমের পর তানজিমের প্রতিশোধ
পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মারলেন বাবর হায়াত। পরের বলেই প্রতিশোধ নিলেন ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান। দারুণ ডেলিভারিতে স্টাম্প উপড়ে ফেললেন তিনি। বলের লাইনেই যেতে পারলেন না হায়াত। ১২ বলে তার সংগ্রহ ১৪ রান। বাংলাদেশ পেল দ্বিতীয় সাফল্যের দেখা। হংকং দ্বিতীয় উইকেট হারাল ৩০ রানে। ক্রিজে জিশান আলীর সঙ্গী নিজাকাত খান।
দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিলেন তাসকিন

দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে গিয়েই বাংলাদেশকে সাফল্য পাইয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ। এই ডানহাতি পেসারের তৃতীয় বলটি জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হলেন ওপেনার অংশুমান রাঠ। আম্পায়ার অবশ্য শুরুতে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে এলো সফলতা।
হংকংয়ের প্রথম উইকেটের পতন হলো ৭ রানে। অংশুমান আউট হলেন ৫ বলে ৪ রানে।
এর আগে প্রথম ওভারটি করেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। তৃতীয় বলেই উইকেট পেতে পারতেন তিনি। তবে আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নেওয়ার পর ইমপ্যাক্ট আম্পায়ার্স কল হওয়ায় বেঁচে যান আরেক ওপেনার জিশান আলী।
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের তেতো স্মৃতি
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আছে তেতো স্মৃতি। ১১ বছর আগের দেখায় হেরে গিয়েছিল তারা। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের মাটিতে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দল অলআউট হয়েছিল মাত্র ১০৮ রানে। এরপর খুড়িয়ে খুড়িয়ে শেষমেশ ২ উইকেটে জিতেছিল হংকং।
এবারের আসরে হংকংয়ের শুরুটা অবশ্য একদমই ভালো হয়নি। গত মঙ্গলবার উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ৯৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। একইসঙ্গে দলটি ম্যাচও হেরেছিল সমান ৯৪ রানে।
হংকংয়ের একাদশ
জিশান আলী, অংশুমান রাঠ, বাবর হায়াত, নিজাকাত খান, কালহান চাল্লু, কিঞ্চিত শাহ, ইয়াসিম মুর্তজা (অধিনায়ক), আইজাজ খান, আয়ুশ শুক্লা, আতিক ইকবাল ও এহসান খান।
বাংলাদেশের একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

'বি' গ্রুপের ম্যাচে টস জিতলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি বেছে নিলেন আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত।
মুখোমুখি বাংলাদেশ-হংকং
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের অভিযান শুরু হচ্ছে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।
শক্তি ও ঐতিহ্যের বিচারে হংকংয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। তাই লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল মাঠে নামবে জয় দিয়ে আসর শুরুর লক্ষ্য নিয়ে।
Comments