‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এরচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতেও হ্যান্ডশেক হয়েছে’

১৪ সেপ্টেম্বর সূত্রপাত হয়েছিলো যে প্রসঙ্গের দুই সপ্তাহ পরও সেই রেশ কাটেনি। বরং ভারত-পাকিস্তান প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনাল মুখোমুখি হওয়ায় 'হ্যান্ডশেক' বিতর্ক ফের আলোচনায়। ফাইনালের আগের রাতে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আঘা বললেন, ক্রিকেট মাঠে এমন ঘটনা তিনি আগে কখনো দেখেননি।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে অনায়াসে হারানোর পর হাত না মিলিয়েই মাঠ ছাড়ে ভারত। প্রতিবাদে প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠান বর্জন করে পাকিস্তান। বর্জন করে পর পর দুটি সংবাদ সম্মেলন। ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের ম্যাচে আবার দুই দলের দেখায় দাপট দেখিয়ে জয় পান সূর্যকুমাররা।
সেই ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনার সাহেবজাদা ফারহান ফিফটি করে রাইফেল তাক করা উদযাপন করেন, হারিস রউফ বিমান ভূপাতিত করার ভঙ্গি করেন বাউন্ডারি লাইনে। সূর্যকুমার যাদব সংবাদ সম্মেলনে দেখান ঝাঁজ। আইসিসি তিনজনকেই সতর্ক করে। আয়োজক এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল পুরো ঘটনায় ছিলো নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
শনিবার সন্ধ্যায় আইসিসি একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে আসে পাকিস্তান দল। তার আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হ্যান্ডশেক বিতর্ক প্রসঙ্গ এলে পুরো ঘটনার একটা বিবরণী দেয়ার চেষ্টা করেন পাকিস্তান অধিনায়ক, 'হ্যান্ডশেক প্রসঙ্গে বলছি, আমি প্রায় ২০০৭ সালে পেশাদার ক্রিকেট খেলা শুরু করি, তখন থেকেই অনূর্ধ্ব-১৬ ইত্যাদি ম্যাচ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এমন কোনো পরিস্থিতি দেখিনি যেখানে দুটি দলের মধ্যে হ্যান্ডশেক হয়নি। আমার বাবা একজন খুবই বড় ক্রিকেট ভক্ত এবং আমি তার কাছ থেকে ক্রিকেট সম্পর্কে শুনতাম—এরও ২০ বছর আগে থেকে—এবং তিনিও আমাকে এমন কোনো ম্যাচের কথা বলেননি যেখানে হ্যান্ডশেক হয়নি। আমি শুনেছি যে আজ পর্যন্ত এমনটি কখনো ঘটেনি; যখনই খেলা হয়েছে, হ্যান্ডশেক অবশ্যই হয়েছে।'
তার মতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এর আগে এরচেয়েও নাজুক সম্পর্ক ছিলো, কিন্তু তখনো খেলা হলে দুই দলের ক্রিকেটাররা মাঠে হাত মিলিয়েছেন, 'ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এর আগেও এমন ম্যাচ হয়েছে যেখানে পরিস্থিতি সম্ভবত এর চেয়েও খারাপ ছিল, তবুও হ্যান্ডশেক হতো। আমার মতে, হ্যান্ডশেক না হওয়া ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু নয়।'
হাত না মেলানোর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অস্ত্রের ভঙ্গি করে যেসব উদযাপন করছেন, তাতে পরিস্থিতি হয়েছে আরও নাজুক। হারিস রউফের বিমান ভূপাতিত করার ভঙ্গিকে স্বাভাবিক আগ্রাসন হিসেবে দেখতে চান সালমান। যদিও এই ঘটনায় আইসিসি তাকে ভর্ৎসনা করেছে, 'আর অঙ্গভঙ্গি প্রসঙ্গে, আমি আগেও বলেছি: আপনি যদি একজন ফাস্ট বোলারের আগ্রাসন কেড়ে নেন, আমার মনে হয় না সে ততটা কার্যকর হবে যতটা তার হওয়া উচিত। যদি কোনো খেলোয়াড় মাঠে আগ্রাসী হতে চায়, "মোস্ট ওয়েলকাম"। তারা আমাদের দলের হোক বা তাদের দলের, আমার তাতে কোনো সমস্যা নেই।'
Comments