এশিয়া কাপ ২০২৫

এখনই কেন রানরেটের আলোচনা?

মাত্রই একটা ম্যাচ শেষ হয়েছে, লিটন দাসরা পেয়েছেন প্রত্যাশিত বড় জয়। তবু রানরেট কেন্দ্র করে জমছে নেতিবাচক আলোচনা। কেন আরও দ্রুত রান তাড়া করা গেল না কিংবা রানরেট বাড়িয়ে নেওয়া গেল এরকম প্রশ্ন বিস্তর।

মূলত রানরেটের ব্যাপারটা প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান এমন জায়গায় নিয়ে গেছে সেটা স্পর্শ করা বেশ কঠিন। দুইশো কাছাকাছি রান করে হংকংকে ৯৪ রানে হারানোয় রশিদ খানদের নেট রানরেট এখন +৪.৭০০, ২০ বল আগে ৭ উইকেটে জিতেও বাংলাদেশের নেট রানরেট তারচেয়ে অনেক কম ১.০০১।

তাওহিদ হৃদয়ের প্রশ্ন, 'রানরেট নিয়ে এত নেতিবাচক ভাবছি কেন আমরা? যদি তিনটা ম্যাচ জিতি তাহলে তো রানরেটের ব্যাপার থাকছে না।' তার এই চিন্তায় ভুল নেই অবশ্য, বাকি দুই ম্যাচের মধ্যে একটা হেরে যেতে পারেন এমন চিন্তা করে খেলোয়াড়রা মাঠে নামেন না বা নামতে চাইবেন না।

তবে এশিয়া কাপে গ্রুপ অব ডেথে পরিস্থিতি এমনটা হতেই পারে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান- তিন দলই জিততে পারে দুইটা করে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে আসবে রানরেটের হিসাব। আর দুই দলের পয়েন্ট সমান হয় তবে আগে দেখা হবে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল।

তিনটা টেস্ট খেলুড়ে দেশের দুটি যেতে পারবে সুপার ফোরে। প্রতিটি ম্যাচ এমনিতেও তাই বাঁচা-মরার লড়াইয়ের মতন। পা হড়কালেই পড়তে হবে কঠিন সমীকরণের মরম্যাঁচে। তখনই আসবে প্লাস,  মাইনাস রানরেটের খুঁটিনাটি।

আসলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রান তাড়ায় মোটা দাগে প্রশ্ন তোলার জায়গা কম। ১৪৪ রান মামুলি লক্ষ্য হলেও শুরুতে বল কিছুটা গ্রিপ করছিল উইকেটে, দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর লিটন আর হৃদয় মিলে সতর্ক পথে ছুটে যাওয়া চতুর ভাবনা। রানরেটের আগে তো নিশ্চিত করতে হবে জয়।

মাঝের ওভারে হয়ত আরেকটু দ্রুত আগানো যেত, কিন্তু আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকায় হৃদয় ধুঁকছিলেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই ডট বল হজম করেছেন তিনি বেশি। হৃদয়ের বদলে জাকের আলিকে পাঠানো যেত কিনা এই প্রশ্ন করা যায়। লিটনকে দেখে মনে হয়েছে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে তার পরিস্থিতি, যখনই দরকার হবে তখনই গিয়ার বদল করবেন, করেছেনও তাই। শেষ দিকে আগ্রাসী হয়ে স্ট্রাইকরেট নিয়ে গেছেন দেড়শোর উপর। না হলে ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত চলে যেতে পারত।

আফগানিস্তানের মতন প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করতে না পারার পেছনে বোলারদের দায়ও দেখতে হবে। উইকেট যেখানে খানিকটা গ্রিপ করছিল, সেখানে হংকংয়ের মতন দুর্বল দলকে আরও আগে বেধে ফেলা কেন গেল না?

বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ এমন উইকেটেও ছিলেন খরুচে। মোস্তাফিজুর রহমান রান কম দিলেও উইকেট তুলতে পারেননি। এসব উইকেটে তার কাটার বেশ ধারালো হওয়ার কথা। হংকংকে একশোর আশেপাশে গুটিয়ে দিলে ম্যাচটা আরও অনেক দ্রুত শেষ করতে পারত বাংলাদেশ।

তবে তাতেও রানরেটে আফগানদের ছাড়িয়ে যাওয়া হতো কঠিন। বাংলাদেশ যদি টস জিতে আগে ব্যাটিং নিত, বড় রান করে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে দিত তাহলে সেটা ছিলো সম্ভব।

জেতার আগে রানরেটের জটিল হিসেব নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে চাননি লিটনরা। আপাতত তাদের লক্ষ্য গ্রুপে প্রতিটা ম্যাচেই জয়, তাহলে তো আর রানরেটের হিসেব থাকছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Jucsu polls: Frustration as counting drags on

More than a day after voting ended in the long-awaited Jahangirnagar University Central Students’ Union election, the authorities were still struggling to complete the vote count, triggering mounting anger and suspicion.

7h ago