এশিয়া কাপ ২০২৫

লঙ্কান অধিনায়ক মনে করছেন দ্বৈরথটা আসলে ভক্তদের মাঝেই সীমাবদ্ধ

charith asalanka
ছবি: একুশ তাপাদার/স্টার

'রাইভেলারি'- শব্দটা শুনেই হেসে দিলেন চারিথা আসালাঙ্কা। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক আঁচ করতে পারছিলেন কেমন প্রশ্ন আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার খেলা হলে এই প্রশ্ন অবধারিত। সাদা বলে দুই দলের মাঠের লড়াই নিয়মিতই জমে উঠছে, আগ্রাসী মনোভাবে খেলোয়াড়রা জড়িয়ে পড়ছেন উত্তেজনায়। ভক্তদের মধ্যে এসব ঘিরে তাই ঝাঁজটা একটু বেশি। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে আসালাঙ্কা থাকলেন কিছুটা সংযত। 'রাইভেলারি' শব্দটাকে আপাতত ভক্তদের কাছে জমা দিয়ে রাখতে চান তিনি।

২০১৮ সালে নিদহাস ট্রফি থেকে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব এরপর বৈশ্বিক আসরে দেখা হলেও আলাদা রূপ নিয়েছে। বাণিজ্যিক রসদ যুক্ত হয়েছে এর ভেতর। শনিবার আবুধাবিতে এশিয়া কাপের মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আরও একবার মুখোমুখি উপমহাদেশের দুই ক্রিকেট শক্তি।

টুর্নামেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে এই ম্যাচটা দুই দলের চলার গতিপথ ঠিক করে দিতে পারে। সুপার ফোরের পথে কারা এগিয়ে যাবে সেই হিসাব স্পষ্ট হয়ে যাবে এতে।

এমন হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগে দুই দলের দ্বৈরথের প্রসঙ্গ আসা স্বাভাবিক।  শুক্রবার সেটা আসতেই আসালাঙ্কা শুরুতে ছুঁড়ে দিলেন পাল্টা প্রশ্ন, 'এটা কি আসলেই দ্বৈরথ, আপনার জন্য? আসলে দ্বৈরথটা ভক্তদের মাঝেই আছে, খেলোয়াড় হিসেবে আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং লড়াই করি, এই যা। আমরা একটা ভালো ম্যাচ উপহার দিতে চাই, বাংলাদেশ বা অন্য দলের সঙ্গেও একইভাবে চাইতাম।'

তবে মাঠের বাইরের এই উত্তাপ যে খেলায় তাদের ঠিকই স্পর্শ করে সেটা স্বীকার করে নিলেন তিনি, 'আমার মনে হয় কিছুটা তো বটেই (মাঠের বাইরের আওয়াজে প্রেরণা)। কিন্তু একই সঙ্গে এটা আমাদের কাছে কেবল একটা খেলা। আমরা শুধু আমাদের মৌলিক পরিকল্পনার উপর আস্থা রাখি।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা, ওয়ানডে ফরম্যাটে তারা রানার্সআপ। ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাকে এবারেরও অনেক দূর যাওয়ার প্রেরণা হিসেবে দেখছেন আসালাঙ্কা,  'চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আমাদের মানসিকতার জন্য ভালো। আমরা জানি যে এই খেলোয়াড়রা অনেক ম্যাচ খেলেছে। তাই আমরা জানি যে যেহেতু আমরা চ্যাম্পিয়ন, আমাদের অনেক আশা আছে যে আমরা অনেক দূর যেতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

Northern region drying up amid freshwater loss

Freshwater, both surface and groundwater, from northern Bangladesh has been declining steadily for the past two decades, reveals a new global study.

10h ago